দীর্ঘ আড়াই মাস পর বেলুড় মঠের দরজা ভক্তদের জন্য খুলে দেওয়া হল। সোমবার থেকেই নির্দিষ্ট বিধিনিষেধ মেনে ভক্তরা প্রবেশ করছেন বেলুড় মঠে। তবে আপাতত চারটি মন্দির শুধুমাত্র পরিদর্শন করতে পারবেন পুণ্যার্থীরা। অর্থাৎ শ্রীরামকৃষ্ণ মন্দির, ব্রহ্মানন্দ, মা সারদা এবং স্বামীজির মন্দির দর্শনের পর বেরিয়ে যেতে হবে পুণ্যার্থীদের। লকডাউনের জেরে একটানা ৮২ দিন বন্ধ ছিল বাংলার এই ঐতিহ্যবাহী ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান। প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে ১১টা পর্যন্ত ও বিকেল ৪টে থেকে সন্ধ্যে ৬টা পর্যন্ত বেলুড় মঠ খোলা থাকবে।
মঠে হাত ধোঁয়ার জন্য থাকছে নির্দিষ্ট জায়গা….
তবে একাধিক নিয়ম ও সুরক্ষাবিধি মেনে চলতে হবে পূণ্যার্থীদের। দূরত্ববিধি মেনে মঠে প্রবেশের পথে দাগ কেটে দিয়েছে মঠ কর্তৃপক্ষ। সেটা মেনেই মঠে প্রবেশ করতে হবে। ঢোকার মুখেই দেওয়া হচ্ছে হ্যান্ড স্যানিটাইজার। করা হবে থার্মাল চেকিং। মুখে অবশ্যই রাখতে হবে মাস্ক। মঠে ফুল ও মিস্টি নিয়ে প্রবেশ কঠোরভাবে নিষেধ। তবে ফল নিয়ে ঢুকতে পারবেন পূণ্যার্থীরা। এছাড়াও বেশ কয়েকটি বিধি নিষেধ জারি করা হয়েছে। যেমন, মঠের কোনও সন্নাসীকে প্রণাম করা যাবেনা। বেলুড় মঠের ভিতর বসে ধ্যান করা যাবেনা।
নির্দিষ্ট দূরত্ববিধি মেনেই পূণ্যার্থীদের লাইন…
এমনকি আপাতত সন্ধ্যারতিও দেখতে পারবেন না ভক্তরা। মঠ প্রাঙ্গণে থুতু ফেলা (spitting) কঠোর ভাবে নিষিদ্ধ। কোনও রকম বিজ্ঞপ্তি না আসা পর্যন্ত বেলুড় মঠে মধ্যহ্নকালীন প্রসাদ বিতরণ বন্ধ থাকবে। পাশাপাশি, ১০ বছরের নীচে ও ৬৫ বছরের উপরে কাউকে মঠে প্রবেশ করতে দেওয়া হবেনা বলেও জানিয়েছে বেলুড় মঠ কর্তৃপক্ষ। উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই সুরক্ষাবিধি মেনে খুলেছে দক্ষিণেশ্বর মন্দির। এবার বেলুড় মঠ খুলে দেওয়ায় খুশি ভক্তরা।
বেলুড় মঠে প্রবেশের মুখেই থার্মাল চেকিং করা হচ্ছে…
Post a Comment
Thank You for your important feedback