শনিবার হায়দরাবাদের কাছে বিমান বাহিনী অ্যাকাডেমির একটি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় বায়ুসেনা প্রধান। সেখানেই এয়ার চিফ মার্শাল আর কে এস ভদৌরিয়া শনিবার চিনের উদ্দেশ্যে একপ্রকার হুংকার ছাড়লেন। তিনি বলেন, গলওয়ান উপত্যকায় ভারতীয় সেনাদের বলিদান বৃথা যাবে না। লাদাখে ২০ জন ভারতীয় জওয়ানের মৃত্যুর পরই গালওয়ান উপত্যাকায় যুদ্ধবিমান নামাতে শুরু করেছে ভারতীয় বায়ুসেনা। লাদাখের আকাশে এখন এয়ার ডমিন্যান্স শুরু করেছে বিমানবাহিনীর পাইলটরা। এই পরিস্থিতিতে বায়ুসেনা প্রধানের এই মন্তব্যে জল্পনা বাড়ছে। এদিন হায়দরাবাদের ওই অনুষ্ঠানে এয়ার চিফ মার্শাল বলেন, ‘আমরা পরিস্থিতি সম্পর্কে পুরোপুরি অবগত। লাদাখ হোক বা লাদাখ সীমান্তের ওপারের পরিস্থিতি হোক, আমরা পুরোটাই খতিয়ে দেখেছি। এবং যে কোনও ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য যা যা করনীয় সবটাই করছে ভারতীয় বায়ুসেনা’
এরপরই রীতিমতো হুঁশিয়ারির সুরে তিনি বলেন, ‘পরিস্থিতি যাই হোক, আমরা তা মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত। আমরা কখনওই আমাদের বীর শহিদদের বলিদান ব্যর্থ হতে দেব না’। তিনি এও স্পষ্ট করে দিয়েছেন, সামরিক পর্যায়ের আলোচনায় চুক্তিবদ্ধ হওয়ার পরেও চিনা সেনার হামলায় ভারতীয় জওয়ানদের প্রাণহানির ঘটনা একেবারেই মেনে নেওয়া যায় না। তবে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় সৃষ্টি হওয়া উত্তেজক পরিস্থিতি যাতে আরও উত্তেজক না হয়ে ওঠে, তার জন্য শান্তিপূর্ণ ভাবে আলাপ আলোচনা চলছে। উল্লেখ্য, লাদাখে বায়ুসেনার যুদ্ধবিমান ও হেলিকপ্টারের দেখা মিলছে। ঘনঘন যুদ্ধবিমানের আওয়াজে চমকে উঠছেন লাদাখবাসী। চিনুক কার্গো হেলিকপ্টার, অ্যাপাচে অ্যাটাকার হেলিকপ্টার, পি-৮ সার্ভিল্যান্স এয়ারক্র্যাফ্ট (নজরদার বিমান) এবং আইএল-৭৬ স্ট্র্যাটেজিক এয়ারলিফ্টার (মালবাহী বা কার্গো বিমান) সক্রিয় ও রেডি টু ফ্লাইট মোডে রাখা হয়েছে। হাই অ্যালার্ট করা হয়েছে ভারতীয় নৌবাহিনীকেও। লাদাখের আকাশে চক্কর মারছে সুখোই, মিরাজ-২০০০, মিগের মতো যুদ্ধবিমান।
Post a Comment
Thank You for your important feedback