সংঘর্ষের দায় ভারতের ঘাড়েই চাপাল চিন, জরুরি বৈঠক রাজনাথের


লাদাখ সীমান্ত নিয়ে দু’দেশের উত্তেজনা প্রশমণের প্রক্রিয়া যখন চলছিল তখনই এই ঘটনা পারদ আরও বাড়িয়ে দিল। অপরদিকে মঙ্গলবারই চিনের বিদেশমন্ত্রক বিবৃতি দিয়ে দাবি করে, ‘ভারতীয় বাহিনী সীমান্ত পেরিয়েছিল এবং চিনা সেনার উপর প্ররোচনামূলক ভাবে হামলা চালিয়েছিল’। ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, নয়াদিল্লি যেন ‘একতরফা ভাবে’ কোনও পদক্ষেপ না করে। কার্যত হুঁশিয়ারির সুরেই চিনের বক্তব্যের পর ভারত কী প্রতিক্রিয়া দেয় সেটাই দেখার। আচমকাই দু’দেশের সীমান্তে এরকম সংঘর্ষের ঘটনায় দুই দেশের সেনার হতাহতের খবর ছড়িয়ে পড়তেই অতি সতর্ক চিন। তাই আগেভাগেই চিনা বিদেশমন্ত্রক বিবৃতি দিয়ে সব দায় ঝেড়ে ফেলতে চাইছে বলেই মনে করছেন কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। কারণ দীর্ঘ ৪৫ বছর পর এই ধরনের ঘটনায় যথেষ্ট অস্বস্তিতে পড়েছে চিন।


পুরো পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে ভারতও। মঙ্গলবার বিকেলেই দিল্লিতে জরুরি বৈঠকে বসলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। বৈঠকে ভারতের চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ (CDS) জেনারেল বিপিন রাওয়াত ছাড়াও রয়েছেন তিন বাহিনীর প্রধানও। এছাড়াও এই বৈঠকে রয়েছেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। সূত্রের খবর, এই বৈঠকেই সেনাবহিনীর শীর্ষকর্তাদের কাছ থেকে লাদাখের সর্বশেষ পরিস্থিতি সম্পর্কে বিস্তারিত খবর নিয়েছেন। কীভাবে দুই দেশের সেনা হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে সেটা নিয়েও খোঁজ নিয়েছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী ও বিদেশমন্ত্রী। বৈঠকে পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা হচ্ছে। অপরদিকে সেনা সূত্রে জানা যাচ্ছে, যেখানে দু’পক্ষের সেনার মধ্যে হাতাহাতি হয়েছিল, সেখানে উত্তেজনা প্রশমনে দু’দেশের সেনা কম্যান্ডাররা বৈঠক করছেন। ভারতের তরফে এই বৈঠকে রয়েছেন কারুর ইনফ্যান্ট্রি ডিভিশনের কম্যান্ডার তথা মেজর জেনারেল অভিজিৎ বাপাত। সেনার ওই সূত্রে আরও জানিয়েছে, দু’পক্ষের উচ্চপদস্থ সেনা আধিকারিকদের ওই বৈঠক এখনও চলছে। পাশাপাশি লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় ভারত-চিন সেনার মুখোমুখি সংঘর্ষের পরই কূটনৈতিক স্তরেও পরিস্থিতি নরম করার চেষ্টায় রয়েছে দুই দেশ।

Post a Comment

Thank You for your important feedback

Previous Post Next Post