‘পর্যটক মাত্রই করোনায় আক্রান্ত নন’, আবেদন ডুয়ার্সের পর্যটন ব্যবসায়ীদের



আনলক-ওয়ান পর্বে রাজ্যে খুলে দেওয়া হয়েছে কয়েকটি পর্যটন কেন্দ্র। কিন্তু হোটেল রিসর্টগুলিতে বুকিং শুরু হতেই এলাকাবাসীদের বাধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে বেশ কয়েকটি জায়গায়। দিঘা, মন্দারমনি ও দার্জিলিংয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের বাঁধার মুখে পড়তে হয়েছে হোটেলগুলিকে। উল্লেখ্য, দিন কয়েক আগেই মেন্দাবাড়ি ও রায়ডাক বনাঞ্চল সংলগ্ন দুটি রিসোর্টের বুকিং বাতিল করতে বাধ্য হন মালিকরা। এক্ষেত্রেও স্থানীয় বাসিন্দাদের ছিল বহিরাগত পর্যটকদের আনাগোনা নিয়ে। এই ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে ডুয়ার্সে পর্যটন সংস্থাগুলি জনতার দরবারে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিল। সোমবার থেকেই এলাকাভিত্তিক সচেতনতা প্রচার যৌথভাবে শুরু করল ডুয়ার্সের পর্যটন ব্যবসায়ীদের সংগঠনগুলি। সোমবার ডুয়ার্সের চিলাপাতায় স্থানীয় বাসিন্দা ও জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে মিলিত হলেন ডুয়ার্সের পর্যটন ব্যাবসায়ীরা। সেখানে স্থানীয় বাসিন্দাদের বোঝানো হয়, পর্যটকরাই এলাকার অর্থনীতির মেরুদণ্ড। পাশাপাশি এটাও বোঝানো হচ্ছে যে পর্যটক অথবা বহিরাগত মাত্রই তাঁরা করোনার বাহক এটা ঠিক নয়। এই ধারণা নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানোর কোনও অর্থ নেই। সরকারি নিয়ম এবং করোনার জন্য পর্যাপ্ত সুরক্ষাবিধি মেনেই ডুয়ার্সের পর্যটন কেন্দ্রগুলি চালু হয়েছে বলেও স্থানীয় মানুষ ও জনপ্রতিনিধিদের বোঝানো হয়েছে। উদ্যোক্তাদের দাবি, এই বৈঠক অত্যন্ত সদর্থক হয়েছে। এদিন দুটি এলাকায় বৈঠক হয়, প্রথমটিতে ১০০ জন ও দ্বিতীয়টিতে ৫০ জন উপস্থিত ছিলেন। আগামী একমাস ডুয়ার্সের বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রের আশেপাশের গ্রামে এই ধরনের বৈঠক করে গ্রামবাসীদের সচেতন করা হবে। এছাড়াও ডুয়ার্সের বিভিন্ন হোটেল, রিসর্ট, ও গাড়ি স্যানিটাইজ করার কাজও চলবে।

Post a Comment

Thank You for your important feedback

Previous Post Next Post