সপ্তাহ দুয়েক আগেই দুই পাক দূতাবাসের কর্মীর বিরুদ্ধে চরবৃত্তির অভিযোগ এনেছিল ভারত। আবিদ হুসেন ও মহম্মদ তাহির নামে ওই দুই পাক দূতাবাস কর্মীকে দ্রুত ভারতছাড়া করেছিল বিদেশমন্ত্রক। এবার পাকিস্তানে নিযুক্ত ভারতীয় দূতাবাসের দুই কর্মী নিখোঁজ হওয়ায় নানান প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল। অবশেষে সাতঘন্টা পর খোঁজ মিলল ওই দুই কর্মীর। সোমবার দিনভর টানটান কূটনৈতিক ‘নাটক’ চলার পর অবশেষে পাকিস্তান পুলিশের হেফাজত থেকেই মুক্তি পেল দুই ভারতীয় কর্মী। সূত্রের খবর, পাক পুলিশ সুলভাদেশ পল ও দওয়ামু ব্রাহমু নামে এই দুই কর্মীকে আটক করে রেখেছিল ইসলামাবাদ সেক্রেটরিয়েট পুলিশ স্টেশনে। যা ভারতীয় দূতাবাসের থেকে মাত্র ২ কিমি দূরেই অবস্থিত। অথচ দিনভর তাঁরা নিখোঁজ থাকার খবরে তোলপাড় হলেও চুপ ছিল পাকিস্তান পুলিশ। আবার সোমবার রাতের দিকে তাঁদের ছাড়ার পর দেখা যায় দুজনেরই শরীরে ক্ষতের দাগ স্পষ্ট।


ফলে উঠছে প্রশ্ন, তবে কী ভারতের পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবেই দুজনকে আটক করেছিল পাকিস্তান পুলিশ? ভারতীয় হাই কমিশন সূত্রে খবর, এই দুই কর্মীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা হবে কতটা ক্ষত হয়েছে ও কীভাবে হয়েছে সেটা খতিয়ে দেখার জন্য। অপরদিকে পাক পুলিশের দাবি, এই দুই ভারতীয় দূতাবাসের কর্মী-একজন সিআইএসএফ গার্ড ও আরেকজন ড্রাইভার বিএমডবলু চালিয়ে যাচ্ছিলেন। হাই কমিশন থেকে বেরোনার পরেই তাঁদের গাড়ি অ্যাক্সিডেন্ট করে। সেখানে একজন পাক নাগরিক গুরুতর আহত হয়েছে। পাকিস্তানের অভিযোগ, গাড়ি নিয়েই চম্পট দেওয়ার তালে ছিলেন দুই ভারতীয়। কিন্তু স্থানীয় লোকেরা তাঁদের আটকে দেয় ও পুলিশের হাতে তুলে দেয়। ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রক সূত্রে পাল্টা দাবি করা হয়, এটা সাজানো ঘটনা। ইসলামাবাদের রাজপথে সকালে ওই গতিতে গাড়ি চালানোর প্রশ্নই উঠছে না। যদিও রাতেই ভারতীয় দূতাবাসের ওই দুই কর্মীকে মুক্তি দেয় পাকিস্তান। পাক বিদেশমন্ত্রক বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়েছে, এক দুর্ঘটনার জেরেই ওই দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারতকে পাল্টা দিতেই দুই ভারতীয় দূতাবাস কর্মীকে আটক করে পাকিস্তান। তবে দুজনের শরীরে ক্ষতচিহ্ন কিসের সেটা বোঝার পরই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে ভারত।

Post a Comment

Thank You for your important feedback

Previous Post Next Post