শুধুমাত্র জরুরি পরিষেবায় কর্মরত যাত্রীদের নিয়েই চালু হতে চলেছে কলকাতা মেট্রো রেল।এর আগে মুখ্যমন্ত্রীর প্রস্তাব নিয়েই নবান্নে দু পক্ষের শীর্ষ আধিকারিকদের বৈঠক হয়। রাজ্য সরকারের পক্ষে মুখ্যসচিব ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন অন্যান্য শীর্ষ আধিকারিকরা। সে বৈঠকেই মেট্রো কর্তৃপক্ষ এ মুহূর্তে পরিষেবা চালুর সমস্যাগুলি তুলে ধরেন। প্রথমত, যত আসন, তত যাত্রী এই শর্ত বাস্তবে রূপায়ন করা যাবে কী করে। কতগুলো আসন খালি আছে, অথবা কত যাত্রী নির্দিষ্ট গন্তব্যে নামবেন, তা বোঝা যাবে কী করে। কত আসন খালি আছে, তা যদি জানা না যায়, তাহলে মধ্যবর্তী স্টেশনগুলিতে নতুন করে যাত্রী তোলাও সম্ভব নয়। দ্বিতীয়ত, যে টোকেন ব্যবহার করে ট্রেনে ওঠানামা করবেন যাত্রীরা, তা স্যনিটাইজ করার পদ্ধতিও কী হবে। এরপর রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে জিজ্ঞাসা করা হয়, তাহলে অন্য রাজ্যগুলিতে ট্রেন চলাচল করছে কীভাবে। এরপর মেট্রো আধিকারিকরা বলেন, ট্রেন চালানোর প্রস্তাব রেলমন্ত্রককে জানান রাজ্য। রেলমন্ত্রক সেই প্রস্তাবের কী উত্তর দেয়, তার ভিত্তিতেই সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব। এমনকি এটাও জানানো হয় রেলমন্ত্রক এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রক সম্মতি দিলে ট্রেন চালানোর প্রস্তাব নিয়ে নতুন করে ভাবনাচিন্তা করা যেতে পারে।
সামাজিক দূরত্ব বিধি মেনে মেট্রো চালু নিয়ে সংশয়ে নিত্যযাত্রীরাও।নবান্নে এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরে সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী জরুরি পরিষেবায় যুক্ত কর্মীদের জন্যে মেট্রো চালানোর প্রস্তাব দেন। এরপরেই সিদ্ধান্ত বদলায় মেট্রো কর্তৃপক্ষ। মহারাষ্ট্র মডেল সামনে রেখে শুধুমাত্র জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত কর্মীদের জন্যেই চালু হতে চলেছে কলকাতা মেট্রো। ভারতে করোনা সংক্রমণ সবথেকে বেশি ছড়িয়েছে মহারাষ্ট্রেই। সেখানে জরুরি পরিষেবায় যুক্ত এরকম ১ লক্ষ ২৫ হাজার কর্মীর তালিকা তৈরি করেছে মহারাষ্ট্র সরকার। তাঁদের পৃথক পরিচয়পত্রও দেওয়া হয়েছে। সেই পরিচয়পত্র দেখিয়েই ট্রেনে যাতায়াত করা যাচ্ছে। তবে প্রতিটি যাত্রীর শারীরিক সক্ষমতার পরীক্ষাও নেওয়া হচ্ছে। কনটেনমেন্ট জোন থেকে আসা কোন যাত্রীকে ট্রেনে উঠতে দেওয়া হচ্ছে না। এবার সেই মডেলেই চালু হতে চলেছে কলকাতা মেট্রো।
Post a Comment
Thank You for your important feedback