উপরের ছবি: কান্নায় ভেঙে পড়েছেন সুশান্তের বাবা…
বড় অসময়ে চলে গেল ছেলেটা। রবিবার নিজের ঘরে অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারের পর থেকেই সোশাল মিডিয়ায় এই কথাটাই ভেসে বেড়াচ্ছে। মুম্বই পুলিশের দাবি, অভিনেতার ঘর থেকে উদ্ধার হয়েছে অ্যান্টি ডিপ্রেশন ওষুধ, মিলেছে প্রেসক্রিপশনও। তবে, পাওয়া যায়নি কোনও সুইসাইড নোট। তবুও এটাকে আত্মহত্যা বলেই মনে করছেন তদন্তকারীরা। তবে পোস্টমর্টেমের প্রাথমিক রিপোর্টে আত্মহত্যারই ইঙ্গিত মিলেছে বলে জানা যাচ্ছে। যদিও এরমধ্যেই সুশান্তের পরিবার এটাকে খুন বলেই দাবি করছেন। এমনকি সকলকে চমকে দিয়ে সুশান্তের মৃত্যুর সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছে তাঁর মামা। অভিনেতার মামা আরসি সিং সংবাদমাধ্যমে আরও জানিয়েছেন, ‘বিহারের যুব সম্প্রদায় ও রাজপুত মহাসভা এই ঘটনার সিবিআই তদন্ত চায়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কাছে আবেদন করছি, এই মৃত্যুর তদন্ত সিবিআইকে দেওয়া হোক’। উল্লেখ্য, রবিবার সকালে সুশান্তের বাড়ির পরিচারকের কাছ থেকেই ফোন পায় মুম্বাই পুলিশ। এরপরই তাঁর শোয়ার ঘর থেকে দেহ উদ্ধার হয়েছে অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের। দেহ ময়নাতদন্তে পাঠিয়ে বান্দ্রার ওই ফ্লাটে ফরেন্সিক দল বিভিন্ন নমুনা সংগ্রহ করেছে। মুম্বাই পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, সম্ভাব্য সব দিকই খতিয়ে দেখা হবে। কিন্তু এরমধ্যেই সুশান্তের পরিবার সিবিআই তদন্তের দাবি করায় ঘটনা নতুন মোড় নিল।
ছবি: তদন্তে মুম্বাই পুলিশের ফরেন্সিক দল…
২০০২ সালে মৃত্যু হয় সুশান্তের মায়ের। খুব অল্প বয়েসেই সে হারিয়েছিল মাকে। তাই তাঁর এই আকাশছোঁয়া সাফল্য দেখে যেতে পারেনি মা। অতীতে এই আক্ষেপের কথাটাই বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন বলিউডের উঠতি তারকা সুশান্ত। এমনকি তিনি এও জানিয়েছিলেন, কিশোর বয়সে তাঁর মায়ের মৃত্যুতে এক ফোঁটা চোখের জলও ফেলেননি তিনি। পরবর্তী সময়ে সোশাল মিডিয়ায় বিভিন্ন পোস্টেও মায়ের প্রতি তাঁর ভালোবাসার খণ্ডচিত্র প্রকাশ পেয়েছে বারবার। এক সাক্ষাৎকারে অভিনেতা জানিয়েছিলেন, ‘যদি মা আমার এই সাফল্যটা দেখতে পারত..আমি নিশ্চিত মায়ের আমাকে নিয়ে গর্ব হত। হয়ত মা থাকলে আমি অন্যরকম একটা মানুষ হতাম। আগে আমাকে যে সব জিনিসগুলো এক্সাইটেড করত এখন আর তা করে না’। মনোবিদরা জানাচ্ছেন, এখানেই লুকিয়ে রয়েছে সুশান্তের মৃত্যু রহস্য। সুশান্ত সিং রাজপুতের শেষ ইনস্টাগ্রাম পোস্টে স্পষ্টতই ইঙ্গিত মিলেছে তাঁর অবসাদগ্রস্ত হওয়ার কথা। জানা গিয়েছে, মৃত্যুর আগের রাতে ফোন করে কেঁদেছিলেন সুশান্তের মা, বলেছিল ‘তুই ফিরে আয়’। কিন্তু সে সময় মুখের উপর না বলে দিয়েছিল কিশোর সুশান্ত। পরবর্তী সময়ে এই আক্ষেপ কোনও দিনই ভুলতে পারেননি বলিউডের জনপ্রিয় নায়ক সুশান্ত সিং রাজপুত। মনোবিদরা বলছেন, অতীতের দুর্ঘটনা এবং ভবিষ্যতের সোনালী দিনের হাতছানি, এই দুইয়ের মাঝখানে যন্ত্রনায় কাতরাচ্ছিলেন সুশান্ত সিং রাজপুত। এই জন্যই হয়তো চুরান্ত পরিনতি এই উঠতি অভিনেতার।
ছবি: পাটনায় সুশান্তের বাড়ির সামনে ভক্তদের ঢল…
Post a Comment
Thank You for your important feedback