রাজনৈতিক সংঘর্ষে উত্তাল হালিশহর, ভাঙচুর অর্জুন সিংয়ের তিনটি গাড়ি


বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার ভার্চুয়াল সভার প্রস্তুতি ঘিরে রণক্ষেত্র হালিশহর। ফের একবার রাজনৈতিক সংঘর্ষে উত্তাল হয়ে উঠল ভাটপাড়া সংলগ্ন ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলের হালিশহর। কর্মসূচিতে যোগ দিতে গিয়ে হামলার মুখে পড়লেন ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং। তাঁর গাড়িটি ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়েছে। অভিযোগের তির সরাসরি শাসকদলের দিকে। অভিযোগ, এলাকায় চলে গুলি-বোমা। অপরদিকে স্থানীয় তৃণমূলের অভিযোগ, তাঁদের পার্টি অফিস ভাঙচুর করে তিনটি মোটরবাইকে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে বিজেপি কর্মীরা।


সবমিলিয়ে রবিবার রাত থেকে রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছে হালিশহর। সোমবার সকালেও এলাকা থমথমে। সাংসদ অর্জুন সিংয়ের অভিযোগ, পুলিশের সামনেই স্থানীয় তৃণমূল নেতা সুবোধ অধিকারীর নেতৃত্বে দুষ্কৃতীরা তাঁর গাড়ি ভাঙচুর চালিয়েছে। যদিও তৃণমূল নেতা সুবোধ অধিকারীর পাল্টা অভিযোগ, নৈহাটি থেকে ফেরার পথে তাঁর গাড়িতেই হামলা চালায় অর্জুন সিং। এরপরেই এলাকার বাসিন্দারা প্রতিবাদ করে বলে দাবি ওই তৃণমূল নেতার। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার রাতে কমকরে ১৫ রাউন্ড গুলি চালিয়েছে দুষ্কৃতীরা। বেশ কয়েকটি বোমাও ছোড়া হয়। সংঘর্ষের খবর পেয়েছেই ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশবাহিনী নিয়ে ছুটে আসেন ব্যারাকপুরের যুগ্ম কমিশনার অজয় ঠাকুর। পুলিশের দাবি, দুজন পুলিশকর্মীও আহত হয়েছেন সংঘর্ষ ঠেকাতে গিয়ে। যাঁদের কল্যাণী জওহরলাল নেহরু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

অর্জুন সিংয়ের দাবি, সর্বভারতীয় সভাপতির সভা নিয়ে এক দলীয় বৈঠক চলছিল হালিশহরের হলদেবাড়ি মোড়ে বিজেপি নেতা রাজা দত্তের বাড়ি। সেখানেই হামলা চালায় তৃণমূল। তাঁর এবং নিরাপত্তারক্ষীদের দুটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। অর্জুন সিংয়ের আরও অভিযোগ, পুলিশের সামনেই এই হামলা চলে, তবে পুলিশ নিষ্ক্রিয় ছিল। জানা গিয়েছে দুই পক্ষই বীজপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে। ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত শুরু করেছে ব্যারাকপুর কমিশনারেটের পুলিশ। সূত্রের খবর, রবিবার রাতেই হামলার ঘটনায় ২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

Post a Comment

Thank You for your important feedback

Previous Post Next Post