করোনা পজিটিভ না নেগেটিভ? ধোঁয়াশা নিয়ে সারারাত অ্যাম্বুলেন্সেই ৭৪-এর বৃদ্ধা!

 

সোদপুর ঘোলার বাসিন্দা বছর ৭৪-এর বৃদ্ধা করোনা পজিটিভ হয়েছিলেন। তাঁর চিকিৎসা চলছিল বারাসতের এক কোভিড হাসপাতালে। শুক্রবার রাতে ওই হাসপাতাল থেকে বৃদ্ধার পরিবারকে জানানো হয় তিনি এখন করোনা মুক্ত। কিন্তু হৃদরোগ জনিত সমস্যা থাকায় তাঁকে আরজি কর হাসপাতালে পাঠানো হবে। অভিযোগ, বাড়ির লোকজনের সম্মতি ও উপস্থিতি ছাড়াই ওই বৃদ্ধাকে একটি অ্যাম্বুলেন্সে আরজি কর পাঠিয়ে দেওয়া হয়। ওই অ্যাম্বুলেন্স চালক এরপর রাতভর আরজি কর মেডিকেল কলেজ সহ শহরের একাধিক হাসপাতালে ঘুরে ফের ফিরে আসেন বারাসতে। বারাসত হাসপাতালেও ওই রোগীনীকে ভর্তি করতে পারেননি তিনি। এরপর শনিবার ভোর ৬টা নাগাদ ওই অ্যাম্বুলেন্স চালক ফোন করেন বৃদ্ধার ছেলেকে।

 

এই অ্যাম্বুলেন্সেই সারারাত ছিলেন বৃদ্ধা…
খবর পেয়ে ছুটে আসেন বৃদ্ধার ছেলে ও পরিবারের লোকজন। অভিযোগ, তাঁরা দেখেন প্রায় নগ্ন অবস্থায় ওই বৃদ্ধা অ্যাম্বুলেন্সেই পড়ে রয়েছেন। তাঁদের প্রশ্ন, বারাসতের ওই কোভিড হাসপাতাল কিভাবে বৃদ্ধাকে একা এক অ্যাম্বুলেন্স চালকের ভরসায় ছেড়ে দিল? কেন জানানো হল না তাঁদের। এরপরই ওই বৃদ্ধার পরিবারের লোকজন বারাসতের ওই কোভিড হাসপাতালের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। ওই অ্যাম্বুলেন্স চালকের দাবি, আরজি কর হাসপাতালে রোগীনী বৃদ্ধাকে ভর্তি নিতে অস্বীকার করে কোভিড পজিটিভ বলে। একই কারণে এরপর বারাসত হাসপাতাল, ব্যারাকপুরের এক বেসরকারি হাসপাতাল ও ফের বারাসত হাসপাতালে নিয়ে যান। ফলে সারা রাতই ওই বৃদ্ধা অ্যাম্বুলেন্সেই পড়ে থাকেন। সকালে আরও অসুস্থ হয়ে পড়েন বৃদ্ধা।


বারাসতের কোভিড হাসপাতাল…
ফলে ভয় পেযেই তিনি ফোন করেন বৃদ্ধার এক ছেলেকে। অ্যাম্বুলেন্স চালকের দাবি, তাঁকে রোগীর সঙ্গে যে কাগজপত্র দেওয়া হয়েছে তাতে করোনা নেগেটিভ লেখা রয়েছে। কিন্তু কাগজপত্র দেখে আরজি কর হাসপাতাল সহ সমস্ত হাসপাতালই বৃদ্ধাকে করোনা পজিটিভ বলে ফিরিয়ে দিয়েছে। পুরো ঘটনা নিয়ে অভিযোগের আঙ্গুল উঠছে বারাসতের ওই কোভিড হাসপাতালের দিকে। কারণ কিভাবে রোগীনীর বাড়ির লোকের উপস্থিতি ছাড়া অন্য হাসপাতালে পাঠিয়ে দিল সেই বৃদ্ধাকে? এই প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যায়নি ওই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে।

 

Post a Comment

Thank You for your important feedback

Previous Post Next Post