তিনবার হল আলোচনা, এরপরও মিলল না সমাধান সূত্র। গত ১৫ জুন চিন ও ভারতীয় সেনাবাহিনীর মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর থেকে সেনা ও কূটনৈতিক স্তরে একাধিকবার আলোচনা হয়েছে ভারত ও চিনের মধ্যে। মঙ্গলবারও প্রায় ১২ ঘন্টার বৈঠক হয় দুদেশের কোর কম্যান্ডার স্তরে। তবুও সেনা না সরানোর বিষয়ে অনড় চিন। সূত্রের খবর, গালওয়ান উপত্যকা বা প্যাংগং লেকে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা থেকে চিন সেনা সরাবে, এমন কোনও প্রতিশ্রুতি বা আশ্বাস মেলেনি চিনের তরফে। যদিও আলোচনা শান্তিপূর্ণ পরিবেশেই হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রতিরক্ষামন্ত্রক। এই পরিস্থিতিতে নিরাপত্তায় কোনও ফাঁক রাখতে চাইছে না ভারত। বেজিংয়ের যে কোনও পদক্ষেপের জবাব দিতে তৈরি ভারত। স্থল, জল ও আকাশপথে সবরকম প্রস্তুতি সেরে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর। বিশেষ করে প্যাংগং লেকের নিরাপত্তা জোরদার করতে পাঠানো হচ্ছে নৌসেনার বিশেষ ভেসেল।
স্টিলের তৈরি এই বিশেষ ভেসেলে নজরদারি চালানো হবে প্যাংগং লেকে। সূত্রের খবর, তিন বাহিনী যৌথভাবে এই ভেসেলগুলি পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দিল্লির এক বিশেষ সূত্রের খবর, ভারত আগে থেকে কোনও পদক্ষেপ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কিন্তু চিনের তরফে কোনও রকম পদক্ষেপ নেওয়া হলেই যাতে তার মোকাবিলা করা যায় তাঁর যাবতীয় প্রস্তুতি নিয়ে রাখা হবে। ইতিমধ্যেই বিশাল প্যাংগং লেকে চিনা সেনার টহলদারি বোট দেখা যাচ্ছে। ফলে ভারতও দ্রুত সেখানে নজরদারি ভেসেল পাঠাতে তৎপর। আকাশপথে সি-৭ হেভি লিফ্টার বোয়িং বিমানের মাধ্যমে ভেসেলগুলি লে-তে নিয়ে যাওয়া হবে। অপরদিকে লাদাখের আকাশে চক্কর মারছে ভারতীয় বায়ুসেনার যুদ্ধবিমান। গালওয়ান ও অন্যান্য অঞ্চলে বাড়তি সেনাও পাঠানো হচ্ছে। ফলে বেজিংয়ের তরফে কোনও রকম আগ্রাসন হলেই তার উপযুক্ত জবাব দিতে প্রস্তুত ভারত। সবমিলিয়ে এই সংঘাত আগামী শীত পর্যন্ত চলবে বলেই মনে করছেন সামরিক বিশেষজ্ঞরা। ফলে বড়সড় প্রস্তুতি নিচ্ছে সেনাবাহিনী।
Post a Comment
Thank You for your important feedback