প্রায় তিনমাসের বেশি সময় বন্ধ যাত্রীবাহী ট্রেন পরিষেবা। তবে আনলক পর্ব শুরুতেই গত ১ জুন থেকে ২৩০টি বিশেষ দূরপাল্লার ট্রেন চালাচ্ছে রেল। তবুও দিন দিন প্রচুর ক্ষতির মুখে পড়ছে দেশের সবচেয়ে বড় সরকারি পরিবহণ সংস্থা। ফলে লকডাউন পুরোপুরি উঠলেই রেল পরিষেবা চালুর আগে ব্যপকহারে খরচ কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেলমন্ত্রক। এরই অঙ্গ হিসেবে একশোর বেশি ধীরগতির প্যাসেঞ্জার ও এক্সপ্রেস ট্রেন পুরোপুরি বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে মন্ত্রক। পাশাপাশি বহু মেল-এক্সপ্রেস ট্রেনের মধ্যবর্তী স্টপেজ তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্তও নিয়েছে। এবার আরও বড় সিদ্ধান্তের কথা সামনে আসছে। লোকাল ট্রেনের স্টপেজ নিয়েও ভাবনা-চিন্তা করছে রেলমন্ত্রক। আগামী সেপ্টেম্বরে নতুন টাইমটেবিল চালু হবে। তার আগেই একেবারে শূন্য থেকে শুরু করতে চাইছে রেলকর্তারা। জানা যাচ্ছে রেলবোর্ড সিদ্ধান্ত নিয়েছে, অলাভজনক স্টেশনগুলিতে আর ট্রেন দাঁড় করানো হবে না।
পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলির চাপেও অনেক স্টেশনে ট্রেন দাঁড় করাতে হয় রেলকে। এবার সেগুলিও তুলে দেওয়া হবে। মূলত আর্থিক সঙ্কট কাটাতেই এমন সিদ্ধান্ত নিতে চাইছে রেলবোর্ড। জানা যাচ্ছে, নতুন টাইমটেবিল চালুর আগে বিভিন্ন রেল জোনকে রেলবোর্ড প্যাসেঞ্জারের তথ্য চেয়ে পাঠিয়েছে। যেমন, কোন স্টেশনে কত যাত্রী যাতায়াত করে। টিকিট বিক্রির হার কত। কতগুলি ট্রেন সেখানে দাঁড়ায়। এই সমস্ত তথ্য যাচাই করেই স্টপেজ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে রেল। এরপরেই প্রকাশিত হবে নতুন সময়সারণী। পূর্ব রেলের এক কর্তা জানিয়েছেন, ‘রেলবোর্ডের নির্দেশে সব ধরনের যাত্রীবাহী ট্রেনের কথাই বলা হয়েছে। ফলে তার মধ্যে লোকাল ট্রেনও পড়ছে। যদিও শহরতলির ট্রেনের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কিছু নির্ধারিতভাবে বলা হয়নি ওই নির্দেশিকায়’। পূর্ব রেল সূত্রে আরও জানা যাচ্ছে, হাওড়া, শিয়ালদা ও খড়গপুর শাখায় বহু স্টেশনে যাত্রীসংখ্যা নগণ্য। কিন্তু সেখানে সব লোকাল ট্রেনই দাঁড়ায়। আবার একটি লোকাল ট্রেনকে কোনও স্টেশনে দাঁড় করাতে হলে রেলের খরচ হয় তিনশো টাকার বেশি। দূরপাল্লার ট্রেনের ক্ষেত্রে এই খরচ বহুগুন বেশি। ফলে খুবই সামান্য যাত্রী হলে সেই সমস্ত স্টেশনে আর নাও দাঁড়াতে পারে লোকাল ট্রেন। এক্ষেত্রে খরচে আনেকটাই রাশ টানা যাবে বলে মনে করছে রেলকর্তারা।
Post a Comment
Thank You for your important feedback