তিনবছরের শিশুকন্যাকে গলা টিপে খুন করে নিজেও গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেন বছর ছাব্বিশের মা। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ব্যারাকপুরের সদর বাজার এলাকায়। পারিবারিক অশান্তি নাকি অন্য কিছু? রহস্য উন্মোচনে তদন্ত শুরু করেছে ব্যারাকপুর থানার পুলিশ। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার সন্ধ্যায় তিন বছরের মেয়ে ইভানাকে নিয়ে একাই বাড়িতে ছিলেন পরভিন খাতুন (২৬)। সদর বাজারে একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন তাঁরা। তাঁর স্বামী ইমরান এক বেসরকারি সংস্থায় কাজ করেন। তবে লকডাউনের জেরে কাজ হারিয়েছিলেন তিনি। এদিন তিনিও ঘরে ছিলেন না। বুধবার সন্ধ্যায় এক প্রতিবেশী জানলা দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান পরভিনকে। তাঁরই চিৎকারে ছুটে আসেন অন্যান্য পড়শিরা।
খবর দেওয়া হয় ব্যারাকপুর থানায়। পুলিশ এসে দরজা ভেঙে দেখতে পায় সিলিং থেকে ঝুলছে পরভিন এবং তিন হছরের মেয়ের নিথর দেহ বিছানায় পড়ে রযেছে। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান গলা টিপে শ্বাসরোধ করেই মারা হয়েছে শিশুটিকে। পুলিশ দেহদুটি ময়নাতদন্তে পাঠায়। প্রতিবেশীদের দাবি, সেরকম কোনও পারিবারিক অশান্তি ছিল না পরভিনের। বড় কোনও গোলমালের কথাও তাঁদের নজরে আসেনি। রোজই সন্ধ্যায় সে প্রতিবেশীদের সঙ্গে গল্পগুজব করতেন। বুধবার সন্ধা পর্যন্ত তাঁকে ও মেয়েকে দেখতে না পেয়েই সন্দেহ হয় প্রতিবেশীদের। তাঁরাই উকি মারেন জানলার ফাঁক দিয়ে। পুলিশ মৃতার স্বামী ও আত্মীয় পরিজনদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে। তবে এই জোড়া মৃত্যুর কারণ কী, তা নিয়ে ধন্ধে রয়েছে পুলিশ ও প্রতিবেশীরা। পুলিশের দাবি, ময়নাতদন্ত রিপোর্ট হাতে না আসা পর্যন্ত নিশ্চিতভাবে কিছুই বলা সম্ভব নয়।
Post a Comment
Thank You for your important feedback