কাজ যাবে না, তবে পাল্টে যাবে রেলকর্মীদের কাজের ধরণ, দাবি রেলকর্তার


করোনা সংক্রমণের জেরে ১০০ দিনের বেশি বন্ধ রয়েছে সাধারণ যাত্রীবাহী ট্রেন পরিষেবা। ফলে দিন দিন বাড়ছে রেলের ক্ষতির বহর। এই পরিস্থিতিতে কর্মী ছাঁটাইয়ের আশঙ্কায় ভুগছিলেন রেলকর্মীরা। সম্প্রতি রেলমন্ত্রকের এক নির্দেশিকার জেরে এই আশঙ্কা আরও বাড়ছিল। তবে শুক্রবারই রেলওয়ে বোর্ডের ডিরেক্টর জেনারেল (মানবসম্পদ) আনন্দ এস খাতি এক ভার্চুয়াল সাংবাদিক বৈঠক করেন। সেখানেই তিনি আশ্বস্ত করেছেন রেলকর্মীদের। তিনি জানান, ‘কারোর চাকরি যাবে না, শুধুমাত্র কাজের ধরন (Job Profile) পালটে যেতে পারে’। তিনি আরও বলেন, ‘রেল তার কর্মীদের উপযুক্ত করতে চায়, কর্মী সংখ্যা কমাবে না। প্রযুক্তিগত কারণে কয়েকটি চাকরির ধাঁচ পরিবর্তিত হতে পারে। তবে কোনও চাকরি যাবে না’। উল্লেখ্য, চলতি আর্থিক বছরে করোনার ধাক্কায় রেলের আয় কমেছে ৫৮ শতাংশ। ফলে রেলের প্রতিটি জোনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল খরচে লাগাম টানার। এই নির্দেশিকার পরই রেলকর্মীদের মধ্যে আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল। পাশাপাশি ১০০-র বেশি ধীর গতির ট্রেনের সার্ভিস বন্ধ করে দেওয়া ও ১৫১ ট্রেনকে বেসরকারি হাতে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েও কর্মীদের মধ্যে অসোন্তোষ তৈরি হয়েছিল। এই অসন্তোষ প্রশমিত করতেই রেলওয়ে বোর্ডের ডিরেক্টর জেনারেল (মানবসম্পদ) সাফ জানিয়ে দিলেন, কর্মী ছাঁটাই করবে না রেল।

গত সপ্তাহেই রেলের তরফে এক নির্দেশিকায় প্রতিটি রেল জোনকে জানানো হয়েছিল, নয়া পদ তৈরি বন্ধ করা হবে, গত দু’বছরে যে পদ তৈরি হয়েছে, তার পর্যালোচনা করা হবে। পাশাপাশি যে শূন্যপদ রয়েছে, তার ৫০ শতাংশ বাতিল করা হবে। এই নির্দেশিকার পরই কাজ হারানোর আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল কর্মীমহলে। রেলওয়ে বোর্ডের ওই কর্তা এই বিষয়ে জানান, শুধুমাত্র অকার্যকরী এবং সুরক্ষা সংক্রান্ত নয় (Non-Safety) এমন পদগুলি বাতিলের বিষয়ে বলা হয়েছিল ওই নির্দেশিকায়। পাশাপাশি তিনি আরও জানান, রেলের সুরক্ষা ব্যবস্থা আরও জোরদার করতে আরও সুরক্ষা সংক্রান্ত পদ তৈরি করা হবে। পাশাপাশি প্রযুক্তিগত ব্যবস্থায় উন্নীত করতে অকার্যকর কর্মীদের কাজের ধরণ পাল্টে দেওয়া হবে। তাঁদের উপযুক্ত প্রশিক্ষণ দিয়ে কাজে লাগানো হবে। এই প্রক্রিয়া ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে।

Post a Comment

Thank You for your important feedback

Previous Post Next Post