কুলতলিতে রাজনৈতিক সংঘর্ষ, খুন এসইউসি ও তৃণমূল কর্মী


শুক্রবার রাত থেকে খুন পাল্টা খুনের অভিযোগে উত্তপ্ত দক্ষিণ ২৪ পরগণার কুলতলি। শাসকদল তৃণমূল ও এসইউসিআই কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষে আহত হয়েছেন দুপক্ষের বেশ কয়েকজন সদস্য। পাশাপাশি মারা গিয়েছেন যুব তৃণমূল কর্মী অশ্বিনী মান্না ও এসইউসি কর্মী সুধাংশু জানা। খুনের ঘটনায় দুই দলই একে অপরের দিকে অভিযোগ করছেন। ঘটনাস্থল কুলতলির মৈপিঠ এলাকা। ঘটনাস্থলে মৈপিঠ থানার বিশাল পুলিশহবাহিনী রয়েছে। শনিবার সকালেও এলাকা থমথমে রয়েছে। টহল দিচ্ছে পুলিশ। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, শুক্রবার রাত থেকেই এলাকায় রাজনৈতিক সংঘর্ষ শুরু হয়। এলাকার দখল নিয়েই সংঘর্ষ। এসইউসি-র দাবি, তৃণমূল নেতা অশ্বিনী মান্না দলবল নিয়ে চড়াও হয় দলীয় কর্মী-সমর্থকদের বাড়ি। প্রায় ১০টি বাড়ি ভাঙচুর, লুঠপাট করে শাসকদলের দুষ্কৃতীরা। এই হামলায় জখম হয় পাঁচ এসইউসি সমর্থকের।
 
সূত্রের খবর, এরপরই উত্তেজিত জনতা গণপিটুনি দিয়ে খুন করা হয় অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা অশ্বিনী মান্নাকে। এরই পাল্টা হিসেবে এসইউসি নেতা সুধাংশু জানাকেও খুন করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সুধাংশু জানার পরিবারের দাবি, তাঁকে খুন করে ঝুলিয়ে দেয় শাসকদল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। যদিও তৃণমূলের দাবি, খুন নয় আত্মহত্যা করেছেন ওই এসইউসি নেতা। অপরদিকে এসইউসি-র দাবি, পিটিয়ে মারা হয়েছে সুধাংশুকে। জয়নগরের প্রাক্তন এসইউসিআই সাংসদ তরুণ মণ্ডলের অভিযোগ, ‘ওই এলাকার পঞ্চায়েতের দখল কার উপর থাকবে, তা নিয়ে ঝামেলা। আমফান দুর্নীতি নিয়ে যাতে আমাদের দলের কর্মী-সমর্থকরা এলাকায় মুখ খুলতে না পারে, তার জন্য এই খুনোখুনি করেছে তৃণমূল’। অপরদিকে তৃণমূলের ব্লক যুব সভাপতি গণেশ মণ্ডলের দাবি, ‘অশ্বিণী মান্না এলাকায় তৃণমূলের জনপ্রিয় কর্মী ছিলেন। তিনি খুন হতেই এলাকার মানুষের জনরোষ গিয়ে পড়ে সুধাংশু জানার বাড়িতে’। পুরো ঘটনা নিয়ে দুই পক্ষই মৈপিঠ কোস্টাল থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে। দুটি দেহই উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
 

Post a Comment

Thank You for your important feedback

Previous Post Next Post