ফের নারকীয় ঘটনা উত্তরপ্রদেশে। এবার এক কিশোরীকে গণধর্ষণের পর তাঁর জিভ কেটে, চোখ উপড়ে খুনের অভিযোগ উঠল। উত্তরপ্রদেশের রাজধানী লখনউ থেকে ১৩০ কিলোমিটার দূরে নেপাল সীমান্তের কাছে অবস্থিত উত্তরপ্রদেশের লখিমপুর খেরি জেলার পকরিয়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গিয়েছে। শুক্রবার বিকেল থেকে নিখোঁজ ছিল বছর তেরোর ওই কিশোরী। শনিবারই তাঁর ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার হয়। নাবালিকার বাবা দাবি করেছেন, ‘ওর চোখ উপড়ে নেওয়া হয়েছিল। জিভ কেটে নেওয়া হয়েছিল। দোপাট্টা দিয়ে শ্বাসরোধ করা হয়েছিল’। তিনি আরও জানিয়েছেন, শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে মেয়েকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। চারিদিকে খোঁজা হচ্ছিল। পরে এক অভিযুক্তের জমি থেকে দেহ পাওয়া গিয়েছে। স্থানীয় পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে, তদন্তে প্রাথমিক অনুমান, ধর্ষণ করেই খুন করা হয়েছে ওই কিশোরীকে। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে পুলিশের দাবি, চোখ উপড়ানো ও জিভ কেটে নেওয়ার অভিযোগ ভিত্তিহীন। তবে চোখে ক্ষত রয়েছে, সেটা আখ খেতের ধারালো পাতার জন্য হতে পারে। লখিমপুর খেরি জেলার পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, সন্তোষ যাদব এবং সঞ্জয় যাদব নামে দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারা (খুন), ৩৭৬ ডি (গণধর্ষণ) ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। একইসঙ্গে জাতীয় সুরক্ষা আইনের ধারাও চাপানো হয়েছে। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বহুজন সমাজ পার্টি (বিএসপি)-র নেত্রী মায়াবতী। টুইটারে তিনি লেখেন, ‘লখিমপুর খেরির পকরিয়া গ্রামে দলিত সম্প্রদায়ের ওই নাবালিকাকে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনা অত্যন্ত লজ্জাজনক। এই ধরনের ঘটনা যদি ঘটতেই থাকে, তা হলে সমাজবাদী পার্টি এবং বিজেপির মধ্যে আর তফাত রইল কোথায়?’ আজমগঢ়ের মতো লখিমপুর খেরির অপরাধীদের বিরুদ্ধেও কড়া পদক্ষেপ করুক সরকার, দাবি বিরোধী দলগুলির।
ফের নারকীয় ঘটনা উত্তরপ্রদেশে। এবার এক কিশোরীকে গণধর্ষণের পর তাঁর জিভ কেটে, চোখ উপড়ে খুনের অভিযোগ উঠল। উত্তরপ্রদেশের রাজধানী লখনউ থেকে ১৩০ কিলোমিটার দূরে নেপাল সীমান্তের কাছে অবস্থিত উত্তরপ্রদেশের লখিমপুর খেরি জেলার পকরিয়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গিয়েছে। শুক্রবার বিকেল থেকে নিখোঁজ ছিল বছর তেরোর ওই কিশোরী। শনিবারই তাঁর ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার হয়। নাবালিকার বাবা দাবি করেছেন, ‘ওর চোখ উপড়ে নেওয়া হয়েছিল। জিভ কেটে নেওয়া হয়েছিল। দোপাট্টা দিয়ে শ্বাসরোধ করা হয়েছিল’। তিনি আরও জানিয়েছেন, শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে মেয়েকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। চারিদিকে খোঁজা হচ্ছিল। পরে এক অভিযুক্তের জমি থেকে দেহ পাওয়া গিয়েছে। স্থানীয় পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে, তদন্তে প্রাথমিক অনুমান, ধর্ষণ করেই খুন করা হয়েছে ওই কিশোরীকে। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে পুলিশের দাবি, চোখ উপড়ানো ও জিভ কেটে নেওয়ার অভিযোগ ভিত্তিহীন। তবে চোখে ক্ষত রয়েছে, সেটা আখ খেতের ধারালো পাতার জন্য হতে পারে। লখিমপুর খেরি জেলার পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, সন্তোষ যাদব এবং সঞ্জয় যাদব নামে দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারা (খুন), ৩৭৬ ডি (গণধর্ষণ) ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। একইসঙ্গে জাতীয় সুরক্ষা আইনের ধারাও চাপানো হয়েছে। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বহুজন সমাজ পার্টি (বিএসপি)-র নেত্রী মায়াবতী। টুইটারে তিনি লেখেন, ‘লখিমপুর খেরির পকরিয়া গ্রামে দলিত সম্প্রদায়ের ওই নাবালিকাকে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনা অত্যন্ত লজ্জাজনক। এই ধরনের ঘটনা যদি ঘটতেই থাকে, তা হলে সমাজবাদী পার্টি এবং বিজেপির মধ্যে আর তফাত রইল কোথায়?’ আজমগঢ়ের মতো লখিমপুর খেরির অপরাধীদের বিরুদ্ধেও কড়া পদক্ষেপ করুক সরকার, দাবি বিরোধী দলগুলির।
Post a Comment
Thank You for your important feedback