বেহাল যশোর রোড, যানজটে নাকাল এয়ারপোর্ট সংলগ্ন এলাকা

প্রায় নিয়ম করেই প্রতিদিন দমদম বিমানবন্দর এলাকায় প্রবল যানজট হচ্ছে। সকাল-বিকেল অফিস টাইমে গাড়ির লম্বা লাইন। ফলে অফিস যাওয়া ও অফিস ফেরত যাত্রীদের হাসফাঁস অবস্থা। করোনা আবহে এখন বন্ধ লোকাল ট্রেন ও মেট্রো। ফলে অফিসে বা বিভিন্ন কাজে যেতে হলে এখন ভরসা বাস, ট্যাক্সি ও অটো। ফলে এখন রাস্তায় গাড়ি প্রচুর বেড়েছে। লকডাউনে গাড়ি ও মোটরসাইকেল বিক্রিও বেড়েছে অনেক। কারণ করোনা আতঙ্কে মধ্যবিত্ত আর বাস বা অটোতে উঠতে চাইছে না। ফলে মোটরসাইকেল বা স্কুটি কিনে ফেলেছেন গড়পড়তা বাঙালি। কিন্তু একটানা বর্ষায় রাস্তার অবস্থা বেহাল। বিশেষ করে যশোর রোডের হাল সবচেয়ে খারাপ। এয়ারপোর্ট এক নম্বর গেট থেকে আড়াই ও তিন গেট হয়ে বেলঘড়িয়া এক্সপ্রেসওয়ে পর্যন্ত রাস্তার হাল সবচেয়ে খারাপ। অপরদিকে বেলঘড়িয়া এক্সপ্রেসওয়ের অবস্থা আরও খারাপ। নামেই হাইওয়ে, গাড়ির গতি একটু বাড়ালেই দুর্ঘটনায় পড়ছে যানবাহন। বড় বড় খানাখন্দ ও পিচের প্রলেপ উঠে গিয়ে উধাও হয়েছে রাস্তা। ফলে ক্ষতি হচ্ছে গাড়ির।

একদিকে বিরাটি সংলগ্ন যশোর রোড অন্যদিকে নজরুল ইসলাম সরণী বা ভিআইপি রোড। যশোর রোডে সর্বত্রই গাড়ির মিছিল। দীর্ঘ যানজটের জন্য ঘন্টার পর ঘন্টা দাঁড়িয়ে থাকছে গাড়ি। আর চললেও অত্যন্ত ধীর গতিতে। কারণ জায়গায় জায়গায় রাস্তার ওপর বড় বড় গর্ত। খানাখন্দে ভরা এই রাস্তা দিয়ে বাইক চালানোই কঠিন। ফলে অফিস টাইমে গাড়ির লাইন দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হয়ে উঠছে প্রতিদিন। অপরদিকে করোনা আবহেও কয়েকটি রুটে বিমান চালু আছে। ফলে বিমানযাত্রীদের বিমান ধরতে সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে তাঁদের। সাধারণ ও নিত্যযাত্রীদের অভিযোগ, গুরুত্বপূর্ণ এই রাস্তার দিকে দৃষ্টি দেওয়া উচিত সরকারের। বর্ষার আগে পিচের প্রলেপ পড়লেও প্রবল বর্ষণে সেটা ধুয়ে মুছে সাফ। তাই রাস্তার কঙ্কাল বেড়িয়ে পড়েছে। আর এর ফলে রোজই ছোটখাটো দুর্ঘটনা লেগেই আছে যশোর রোডে। তাই এয়ারপোর্ট সংলগ্ন এলাকা এখন নিত্যযাত্রীদের কাছে আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

Post a Comment

Thank You for your important feedback

Previous Post Next Post