জন্মশতবর্ষে ‘ঢাকার ভানু’



সাম্যময় বন্দ্যোপাধ্যায় নামটা শুনেছেন? অনেকেই শোনেননি হয়তো। এবার যদি বলি ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম শুনেছেন? তাহলে আপামর বাঙালি একযোগে হাত তুলবেন। বাংলা সিনেমার জগতে ভানু বন্দ্যোপাধ্যায় একটি প্রতিষ্ঠান। বিশেষ করে কমেডি বা হাস্যরসের দিক থেকে তিনিই সর্বকালের সেরা সে বিষয়ে কেউ বিতর্কে যাবেন না। সাম্যময় বন্দ্যোপাধ্যায়ই বাংলা সিনেমার জগতে ভানু বন্দ্যোপাধ্যায় নামেই পরিচিত। জন্ম ১৯২০ সালের ২৬ আগস্ট। অর্থাৎ তাঁর জন্মশতবর্ষ। তৎকালীন অবিভক্ত বাংলার ঢাকায় জন্ম গ্রহন করেছিলেন ভানু। তাই ঢাকাইয়া বাংলার মিস্টত্ব ছিল তাঁর কথায়। আর সেই ভাষাতেই সিনেমায় সংলাপ বলে এক ব্যাতিক্রমী ধারা তৈরি করেছিলেন বাংলা সিনেমায়। বাংলা কমেডি সিনেমায় প্রায় এক দশকের বেশি সময় আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু ছিলেন তিনি।

সিনেমায় বাঙালির অন্যতম সুপারস্টার উত্তমকুমারের পাশেও সমান উজ্জ্বল ছিল তাঁর উপস্থিতি। তবে তিনি যে শুধু সিনেমায় অভিনয়ই করেননি। রেকর্ড ও টেপ ক্যাসেটে তাঁর বহু ‘কমেডি’ সমান জনপ্রিয় ছিল। তিনিই প্রথম এই নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছিলেন রেকর্ড কোম্পানিগুলিতে। একসময় তাঁকে প্রধান চরিত্রে রেখেই একের পর সিনেমা হয়েছে টলিউডে। ‘যমালয়ে জীবন্ত মানুষ’, ‘মিস প্রিয়ংবদা’, ‘আশিতে আসিও না’, ‘ওরা থাকে ওধারে’, ‘ভানু গোয়েন্দা জহর অ্যাসিস্টেন্ট’, নির্ধারিত শিল্পীর অনপুস্থিতিতে, প্রভৃতি সিনেমা মূলত তাঁকে নিয়েই করা হয়েছিল। এছাড়া সাড়ে চুয়াত্তর, স্ত্রী, দেবদাস সহ অসংখ্য সিনেমাতেও তিনি নিজের সহজাত অভিনয়ের ছাপ রেখেছেন। ১৯৮৪ সালে তাঁর শেষ ছবি শোরগোল।

Post a Comment

Thank You for your important feedback

Previous Post Next Post