একদিকে শোভনপত্নী রত্না চট্টোপাধ্যায়কে তৃণমূল কংগ্রেসের দায়িত্ব থেকে সরানো। অন্যদিকে মাঝরাতেই শোভনের বাড়িতে বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক অরবিন্দ মেননের দীর্ঘ বৈঠক। সবমিলিয়ে বঙ্গ রাজনীতিতে নতুন সমীকরণ নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। সোমবার রাত সাড়ে নটার কিছু আগে পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক অরবিন্দ মেনন বিজেপি নেতা শোভন চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে ঢোকেন। এরপর শুরু হয় ম্যারাথন বৈঠক।
তিনি যখন শোভন চট্টোপাধ্যায়ের গোলপার্কের বাড়ি থেকে বের হন, তখন ঘড়ির কাঁটা সাড়ে এগারোটা পেরিয়ে গিয়েছে। যদিও দুজনের মধ্যে কী কথা হল, সেটা খোলসা করেননি অরবিন্দ মেনন। তবে তিনি জানান, ‘গত ২২ আগস্ট থেকে ২৬ আগস্টের মধ্যে আলোচনা হওয়ার কথা ছিল। দু’পক্ষের সময়ের মিল হচ্ছিল না। আজ সময় হল। তাই আজ কথা হয়েছে। সিদ্ধান্ত এবার শোভন চট্টোপাধ্যায় নেবেন’। ফলে জ্ল্পনা কাটল না বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক মহল।
তবে ঘনিষ্ঠ মহলে অরবিন্দ মেনন জানিয়েছেন, ‘খুব ভালো আলোচনা হয়েছে’। সূত্রের খবর, এর আগে দলের কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়র সঙ্গেও কথা হয়েছে শোভন-বৈশাখীর। রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন, শোভন-বৈশাখীর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে শাসকদলের শীর্ষ নেতৃত্ব।
একুশের ভোটের আগে রাজনীতিতে পোড় খাওয়া কলকাতার প্রাক্তন মহানাগরিককে ফের পুরোনো দলে টানতে মরিয়া তৃণমূল। অপরদিকে বিজেপির সদস্যপদ নেওয়ার পর সেভাবে বড় কোনও কর্মসূচিতে যোগ দিতে দেখা যায়নি শোভন চট্টোপাধ্যায়কে। কিন্তু দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলার সংগঠন হাতের তালুর মতো চেনেন তিনি। এই পরিস্থিতিতে এই জেলায় সাংগঠনিকভাবে দুর্বল বিজেপি চাইছে শোভনবাবুকে কাজে লাগাতে। ফলে মানভঞ্জনে আসরে নামল বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব, এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
Post a Comment
Thank You for your important feedback