চোরাপথে রাজ্যে আসা ৬০০ টন পদ্মার ইলিশ বাজেয়াপ্ত

 
চোরাপথে ভারতের বাজারে পৌঁছে যাওয়ার আগেই সীমান্তরক্ষী বাহিনীর তৎপরতায় এবার ধরা পরল প্রায় ৬০০ কেজি পদ্মার ইলিশ। বাংলাদেশ থেকে চোরাপথেই এই ইলিশ মুর্শিদাবাদ সীমান্তে ঢুকিয়েছিল চোরা কারবারীরা। যার বাজার মূল্য প্রায় ১০ লাখ টাকা বলে জানিয়েছে বিএসএফ। বিএসএফ গোয়েন্দা মারফৎ খবর পায় ফারাজিপাড়া সীমান্ত দিয়ে চোরাচালান হতে পারে। সেইমতো সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সীমান্ত ফাঁড়ি চারভদ্রা পোস্টের একটি বিশেষ দল স্পিডবোট নিয়ে ফারাজিপাড়া এলাকায় টহল দিতে শুরু করে। এই সময় তাঁরা দেখতে পান চার-পাঁচজন সীমান্তের খুব কাছেই বাঁশের খুঁটি দিয়ে পাটের বান্ডিল ভারতের দিকে ঠেলে নিয়ে আসছে। স্পিডবোট নিয়ে দ্রুত তাঁদের তাড়া করলে চোরাচালানকারীরা পালাতে সক্ষম হয়। এরপরই বিএসএফ জওয়ানরা ওই পাটের বান্ডিলগুলি উদ্ধার করে নিয়ে আসে।

এভাবেই পাটের বান্ডিলে লুকিয়ে আনা হচ্ছিল ইলিশ
তাতেই ইলিশমাছ লুকানো ছিল। এরপরই মাছগুলি জলঙ্গি শুল্ক দফতরের কাছে জমা দিয়েছে বিএসএফ। সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ১৪১ ব্যাটালিয়নের কমান্ডার এন এস রৌতেলা জানিয়েছেন, বিএসএফ জওয়ানরা দিনরাত কড়া নজরদারি চালানোয় এই এলাকায় চোরাচালান প্রায় বন্ধ। তাই লকডাউনের সুযোগ নিয়ে ইলিশ পাচার করার চেষ্টা করছিল পাচারকারীরা। লকডাউনের জেরে সীমান্ত বাণিজ্য প্রায় বন্ধ, তাই ভরা মরসুমে ইলিশের চাহিদা থাকলেও বাংলাদেশ থেকে সেভাবে ইলিশ আসছে না। উল্লেখ্য, এর আগে বনগাঁ পেট্রাপোল সীমান্তেও একটি ইলিশবোঝাই ট্রাক পাকড়াও করেছিল বিএসএফ।

Post a Comment

Thank You for your important feedback

Previous Post Next Post