২০৩০ সালের মধ্যেই বিশ্বে এই ‘বিরল কৃতিত্ব’ অর্জন করবে ভারতীয় রেল


রেলমন্ত্রী পীযূষ গয়াল এক টুইটে জানিয়েছেন, আগামী ২০৩০ সালের মধ্যেই ভারতীয় রেল ‘নেট-জিরো রেলওয়ে’ হিসেবে পরিগণিত হবে। অর্থাৎ ভারতীয় রেলের কার্বন নিঃসরণ শূন্য হয়ে যাবে। রেলমন্ত্রী ওই টুইটে লিখেছেন, ‘২০৩০-এর মধ্যে আমাদের নেট-জিরো রেলওয়ে হবে। ভারতীয় রেলের কার্বন নিঃসরণ শূন্য হয়ে যাবে’। তিনি আরও লিখেছেন, ‘প্রতিবছর ৮০০ কোটি যাত্রী ও ১২০ কোটি টন পণ্য পরিবহণ করে ভারতীয় রেল। পৃথিবীতে প্রথম এই মাপের রেলওয়ে সম্পূর্ণ ভাবে গ্রিন হয়ে উঠবে’। উল্লেখ্য, আমেরিকা, রাশিয়া ও চিনের পরেই ভারতে রয়েছে বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম রেলওয়ে নেটওয়ার্ক। মোট মোট ৬৭ হাজার ৩৬৮ কিলোমিটার দীর্ঘ রেলপথ ভারতে। রয়েছে ৭৩০০ স্টেশন। ২০২০ সালের মার্চ মাস থেকে করোনা সংক্রমণের কারণে বন্ধ রয়েছে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল। হাতে গোনা ১৩০টির মতো বিশেষ ট্রেন ও পণ্যবাহী ট্রেন চালাচ্ছে রেল। ফলে এই সুযোগে রেলওয়ে নেটওয়ার্কের আমূল সংস্কার করে নিচ্ছে রেল কর্তৃপক্ষ।

ইতিমধ্যেই স্টেশন আধুনিকিকরণ সহ যাত্রী ও ট্রেনের নিরাপত্তা ব্যবস্থাও উন্নত করার কাজ চলছে। সেই সঙ্গে কয়েকটি যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেল। বেসরকারি ট্রেন চালানো থেকে শুরু করে ডাক ব্যবস্থার অবলুপ্তি কিংবা কর্মী ছাঁটাই। পাশাপাশি ধীর গতির ট্রেন ও স্টেশন কমিয়ে ফেলার মত সিদ্ধান্তও নিয়েছে রেল। করোনা আবহে এই সবেরই সাক্ষী ভারতীয় রেল। এবার আগামী ১০ বছরে আরেক সোনালী স্বপ্নের বীজ বপণ করলেন রেলমন্ত্রী। রিনিউএবেল এনার্জি সেক্টরের বেশ কিছু সংস্থার কর্তাদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকের পরই রেলমন্ত্রী টুইট করে জানিয়ে দিলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে কার্বন নি:সরণ সম্পূর্ণ শূন্যে নামিয়ে আনা হবে। ভারতীয় রেল হবে ‘নেট-জিরো রেলওয়ে’, যা বিশ্বে প্রথম দেশ হিসেবে হবে ভারতেই। অপরদিকে রেলবোর্ডের চেয়ারম্যান ঘনশ্যাম সিং সংবাদসংস্থা পিটিআই-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, ১০০ শতাংশ বিদ্যুতিকরণের কাজ শেষ হলেই ট্রেনের গতি বাড়বে গড়পড়তা ১০-১৫ শতাংশ। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের মধ্যেই ভারতীয় রেল ১০০ শতাংশ ডিজেল-ফ্রি হয়ে যাবে বলেই আশা করেছেন রেলকর্তারা।

Post a Comment

Thank You for your important feedback

Previous Post Next Post