একটানা দীর্ঘক্ষণ অফিসে বসে কাজ করতে হয়? নাকি সারাদিন নানা জায়গায় ঘুরে ঘুরে কিংবা সারাক্ষণ দাঁড়িয়ে কাজ করতে হয়? এসব কারণে কাজের চাপের সঙ্গেই পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ঘাড়, কোমর আর পিঠের ব্যথা! করোনাকালে শারীরিক সমস্যা যতই হোক না কেন, পেশা বদল করা সম্ভব না। তবে আপনার জীবনযাত্রায় কিছু পরিবর্তন আনলেই আপনি মুক্তি পেতে পারেন ঘাড়, কোমর আর পিঠের ব্যথা থেকে।
যদি দীর্ঘক্ষণ আপনাকে অফিসে বসে কাজ করতে হয়, সে ক্ষেত্রে মাঝে মধ্যে ২-৩ মিনিটের জন্য ‘ব্রেক’ নিয়ে একটু হেঁটে আসুন। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, ২ ঘণ্টা একটানা বসে থাকলে শরীরের ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রা এক ধাক্কায় প্রায় ২০ শতাংশ পর্যন্ত কমে যায়। সেই সঙ্গে শরীরের ফ্যাট ঝরানোর উৎসেচকের ক্ষরণ প্রায় ৯০ শতাংশ কমে যায়। ৪ ঘণ্টা একটানা বসে থাকলে রক্তে ইনসুলিনের মাত্রা কমে যায়। তাই ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকলে শুধু ঘাড়ে, কোমরে বা পিঠে ব্যথাই বাড়বে না, বাড়বে ডায়াবেটিস বা হার্টের সমস্যাও।
অনেকেই চেয়ারে ভুল ভঙ্গিমায় বসি বা দাঁড়াই। যার ফলে ঘাড়ে বা পিঠে ব্যথা হয়। তাই বসা, দাঁড়ানোর বা শোওয়ার সময় তার ভঙ্গি সতর্কভাবে খেয়াল রাখুন।
শোওয়ার সময় বালিশের উচ্চতা সঠিক না হলে বা বালিশ খুব শক্ত বা খুব নরম হলে ঘাড়ে, পিঠে ব্যথা হতে পারে। বালিশের উচ্চতা এমন হওয়া উচিত, যাতে কাঁধ আর ঘাড় না বেঁকিয়ে পিঠ মোটামুটি সোজা বা সমান্তরাল রেখে শোওয়া যায়।
বেড়াতে যাওয়ার সময় বা কাজে বের হওয়ার আগে আমরা অনেকেই পিঠে ভারী ব্যাকপ্যাক নিয়ে থাকি। বেশি ওজনের ব্যাগ দীর্ঘক্ষণ ধরে বইতে হলে দু’ কাঁধে সমান ভার না পড়লে কাঁধে বা পিঠে ব্যথা হয়। তাই ব্যাগ এমন ভাবেই নিতে হবে যাতে দু’কাঁধে সমান চাপ পড়ে।
ফ্রোজেন শোল্ডার বা স্টিফ জয়েন্টের সমস্যায় সার্ভিক্যাল কলার বা ব্যাক ব্রেস পরলে সাময়িক আরাম পাওয়া যায় ঠিকই, তবে এই অভ্যাস দীর্ঘমেয়াদী হলেই বিপদ! কারণ, চিকিৎসকদের মতে, তেমন কোনও চোট, আঘাত না থাকলে সার্ভিক্যাল কলার বা ব্যাক ব্রেস-এর উপর নির্ভর না করাই ভাল। এর থেকে ফিজিওথেরাপিস্টদের পরামর্শ অনুযায়ী নিয়ম মেনে কসরত করাই ভাল।
Post a Comment
Thank You for your important feedback