তবলিঘিদের বলির পাঁঠা করা হয়েছে, বোম্বাই হাইকোর্ট


বোম্বাই হাইকোর্ট শনিবার বলেছে, তাদের বলির পাঁঠা করা হয়েছে। তারা ভিসা আইন ভাঙেনি, তারা করোনা সংক্রমণ ছড়ানোর জন্যও দায়ী নয়। বোম্বাই হাইকোর্টের বিচারপতি টিভি নালাওয়াদে এবং বিচারপতি এমজি সেওলিকারের ডিভিশন বেঞ্চের মন্তব্য, মহামারির সময় রাজনৈতিক সরকার বলির পাঁঠার খোঁজ করে। সেজন্যই বিদেশিদের বেছে নেওয়া হয়েছিল। এই বিদেশিরা ধর্মীয় আলোচনায় অংশ নিতে এসেছিলেন। ইন্দোনেশিয়া, আইভরি কোস্ট এবং ইরান থেকে দিল্লির নিজামুদ্দিনে এসেছিলেন। তাঁদের বিরুদ্ধে মহামারি আইন, বিদেশি নাগরিক আইনের ধারায় অভিযুক্ত করা হয়েছিল। এরইসঙ্গে সাতজন ভারতীয় নাগরিকের বিরুদ্ধে করা এফআইআরও তাঁরা খারিজ করেছেন। বিদেশিরা আদালতে জানিয়েছেন, তাঁরা বৈধ পর্যটক ভিসা নিয়েই ভারতে এসেছিলেন। বিমানবন্দরে তাঁদের পরীক্ষাও করা হয়েছে। আসার পর স্থানীয় প্রশাসনকেও তাঁরা জানিয়েছিলেন। তাঁরা কোনও ধর্মপ্রচারের জন্য আসেননি। আদালত বলেছে মহারাষ্ট্র সরকার রাজনৈতিক বাধ্যতায় এই কাজ করেছে। নিজের মতো কাজ করেনি পুলিশও। সেইসময় লকডাউন জারি ছিল, বিমান উড়ান, হোটেল সবই বন্ধ ছিল। তাই বাধ্য হয়েই তাঁরা মসজিদে আশ্রয় নিয়েছিলেন। এটা অপরাধ হতে পারে না। তাঁরা লকডাউনের আগেই এদেশে এসেছিলেন। তাঁরা করোনাভাইরাস ছড়িয়েছেন, এমন কোনও প্রমাণও মেলেনি। এছাড়া, বেছে বেছে মুসলিমদের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, অন্য ধর্মাবলম্বী বিদেশিদের বিরুদ্ধে নয়। নিজামুদ্দিন মারকাজের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হয়েছে। গত ৫০ বছর ধরে নিজামুদ্দিনে এই ধর্মসভা হচ্ছে। কোনও অসুবিধে হয়নি কারও।

Post a Comment

Thank You for your important feedback

Previous Post Next Post