বিয়ে করতে নারাজ প্রেমিকরা, ধর্নায় বসল ‘দুই’ প্রেমিকা


দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রী রোমিলা খাতুনের (২১) বাড়ি মালদা জেলার মানিকচক থানার নুরপুর নতুন টোলা গ্রামে। অপরদিকে দ্বাদশ শ্রেণীর আরেক ছাত্রী ১৭ বছরের প্রমীলা (নাবালিকার নাম পরিবর্তিত), যার বাড়ি উত্তর ২৪ পরগণা জেলার হিঙ্গলগঞ্জের নবীগঞ্জ গ্রামে। দুজনেই আজ একই অবস্থানে। দুজনেই ভালোবেসেছিলেন দুজনকে। কিন্তু বিয়ে করতে নারাজ প্রেমিক। ভালোবাসার সম্পর্কে হৃদয়ের উষ্ণতায় তাঁরা নিজেদের উজার করে দেয় প্রেমিকের কাছে। চোখে স্বপ্ন বিয়ে করবেন ভালোবাসার মানুষটি। কিন্তু বিয়ের চাপ দিতেই বেঁকে বসেন দুই প্রেমিক। অগত্যা ধর্না, প্রেমিকের বাড়ির সামনেই ধর্নায় বসে দুই প্রেমিকা। প্রথমজন মালদার মানিকচকে দ্বিতীয়জন উত্তর ২৪ পরগনার হিঙ্গলগঞ্জে।

দ্বাদশ শ্রেণীর পড়ুয়া রোমিলা ভালোবেসেছিল পাশের গ্রাম মোহনগঞ্জের রাহুল মিঞাকে। বছর দুয়েক আগে আলাপ, এরপর প্রেম। রোমিলার দাবি, বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে একাধিকবার সহবাসও করেছে রাহুল। কিন্তু বিয়ের জন্য চাপ দিতেই চম্পট দিয়েছে রাহুল। কয়েকমাস হল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। রোমিলার অভিযোগ এখন বিয়ে করতে অস্বীকার করেছে রাহুল, এরপর থেকেই নিরুদ্দেশ। এমনকি তাঁর পরিবারের অন্য পুরুষেরাও গা ঢাকা দিয়েছেন। তাই রাহুলের বাড়ির সামনেই ধর্নায় বসেছেন রোমিলা। লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন মানিকচক থানাতেও। এই ঘটনায় ওই গ্রামে যথেষ্ট চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

অপরদিকে বসিহাট মহাকুমার হিঙ্গলগঞ্জ থানার নবিগঞ্জ গ্রামেও প্রেমিকের বাড়ির সামনে ধর্নায় বসেছে এক নাবালিকা। তাঁরও দাবি এক, বিয়ে করতে নারাজ প্রেমিক। বছর একুশের মহাদেব সর্দার অবশ্য বিপদ বুঝে দাবি করেছেন প্রেমিকা নাবালিকা, তাই এখনই বিয়ে করতে পারবেন না। এক বছর আগেই সোশাল মিডিয়ায় আলাপ দুজনের। নাবালিকার বাড়ি দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার ছোট মোল্লাখালিতে। এরপর ফোন নম্বর আদানপ্রদান ও পরে ভালোবাসার সম্পর্ক গড়ে ওঠে দুজনের মধ্যে। কিন্তু প্রেমিক বিয়ে করতে অস্বীকার করতেই ওই নাবালিকা সোজা হাজির হয়ে যায় প্রেমিকের বাড়ি। বারান্দায় বসে যায় ধর্নায়। গ্রামের লোকজন জড়ো হতেই খবর যায় হিঙ্গলগঞ্জ থানায়। এরপর উত্তর ২৪ পরগনা চাইল্ড লাইনের আধিকারিকরাও সেখানে যান। তাঁরাই ওই নাবালিকাকে বুঝিয়ে ধর্না উঠিয়ে দেন। প্রেমিক মহাদেব মুচলেকা দিয়েছে ১৮ বছর বয়স হলেই বিয়ে করবে বলে।

Post a Comment

Thank You for your important feedback

Previous Post Next Post