শান্তিনিকেতনে অশান্তি, তৃণমূল বিধায়ক সহ ৯ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর বিশ্বভারতীর

শান্তিনিকেতনের পৌষ মেলার মাঠে পাঁচিল তোলাকে কেন্দ্র করে অশান্তি ছড়ায় সোমবার। এই ঘটনায় মিছিল, বিক্ষোভ, মেলার প্রবেশদ্বার এবং নির্মিয়মান পাঁচিল ভাঙচুরের জন্য তৃণমূল বিধায়ক নরেশ বাউড়ির বিরুদ্ধেই এফআইআর (FIR) দায়ের করল বিশ্বভারতী। বিধায়ক ছাড়াও স্থানীয় তৃণমূল নেতা গগণ সরকার সহ মোট ৯ জনের বিরুদ্ধে হয়েছে এফআইআর। মঙ্গলবারই শান্তিনিকেতন থানায় লিখিত অভিযোগ করে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। যদিও সোমবারই স্বত:প্রণোদিতভাবে মামলা দায়ের করে ৮ জনকে গ্রেফতার করেছিল শান্তিনিকেতন থানার পুলিশ। উল্লেখ্য, রবিবার শান্তিনিকেতনের মেলার মাঠে পাঁচিল তোলার কাজ শুরু করেছিল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। এই ব্যাপারে আপত্তি ছিল স্থানীয় ব্যাবসায়ী, আবাসিকদের একাংশ ও স্থানীয় মানুষদের।
সোমবার তাঁরা মিছিল করে নির্মানস্থলে আসেন। এরপরই শুরু হয় চুরান্ত বিশৃঙ্খলা। জেসিবি মেশিন নিয়ে এসে ভেঙে গুড়িয়ে দেওয়া হয় মেলার মাঠের কংক্রিটের প্রবেশদ্বার। ভাঙা হয় নির্মিয়মান পাঁচিলও। ভাঙচুর চালানো হয় মাঠের পাশে তৈরি অস্থায়ী ক্যাম্পেও। অভিযোগ, এই মিছিলে আগাগোড়াই ছিলেন দুবরাজপুরের তৃণমূল বিধায়ক নরেশ বাউড়ি সহ স্থানীয় কয়েকজন তৃণমূল নেতা। সুত্রের খবর, মঙ্গলবার বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী আধিকারিকদের সঙ্গে জরুরী বৈঠক করেন। এরপরই নির্দিষ্টভাবে নরেশ বাউড়ির নাম উল্লেখ করে ৯ জনের বিরুদ্ধে শান্তিনিকেতন থানায় অভিযোগ দায়ের করে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। যদিও বিশ্বভারতীতে হামলার ঘটনায় দলের দায় নেই বলে জানিয়ে দিলেন বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। তাঁর সাফাই, ওখানে পাঁচিল না তুলে খুঁটি দিয়ে ঘিরে দিলে সমস্যা হতনা। তবে এই হামলার ঘটনায় তৃণমূলের বিধায়ক, কাউন্সিলরদের নাম জড়িয়ে যাওয়া নিয়ে অনুব্রতর সাফাই, ‘আগের দিন সেখানে বিজেপি নেতাদেরও দেখা গিয়েছিল’।

Post a Comment

Thank You for your important feedback

Previous Post Next Post