রাজ্যের করোনা চিকিৎসা পরিষেবা নিয়ে বেসরকারি হাসপাতালগুলির কার্যকলাপ নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন উঠছে বিগত কয়েকদিন ধরেই। একদিকে লাগামছাড়া বিলের অভিযোগ, অন্যদিকে অগ্রিম না দিলে রোগী ভর্তি না করার অভিযোগের মতো মারাত্মক অভিযোগও উঠছে। পাশাপাশি রোগীর পরিবারের প্রতি দুর্ব্যবহার, রোগী ফিরিয়ে দেওয়ার মতো অভিযোগও আসছে প্রতিনিয়ত। এই পরিস্থিতিতে শনিবার নিউটাউনে জরুরি বৈঠকে বসেন রাজ্য স্বাস্থ্য কমিশনের সদস্যরা।ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কমিশনের চেয়ারম্যান তথা প্রাক্তন বিচারপতি অসীম বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রবীণ চিকিৎসক সুকুমার মুখোপাধ্যায়, মৈত্রেয়ী বন্দ্যোপাধ্যায় ও গোপালকৃষ্ণ ঢালি। এই বৈঠকের পরই রাজ্যের বেসরকারি হাসপাতাল ও চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের প্রতি কড়া মনোভাব নিল রাজ্য স্বাস্থ্য কমিশন। নতুন করে কয়েক দফা অ্যাডভাইজারি জারি করল স্বাস্থ্য কমিশন।
ছবি:নিউটাউনে জরুরি বৈঠকে রাজ্য স্বাস্থ্য কমিশনের সদস্যরা
রাজ্য স্বাস্থ্য কমিশনের অ্যাডভাইজারি…- ওষুধের ক্ষেত্রে রোগীর পরিবারকে ১০ শতাংশ ছাড় দিতে হবে। ছাড় না দিলেও তাঁদের বাইরে থেকে ওষুধ কেনার অনুমতি দিতে হবে।
- তুলো, সিরিঞ্জ, পিপিই কিটের ক্ষেত্রে ২০ শতাংশ ছাড় দিতে হবে।
- গত ১ মার্চ পর্যন্ত বেড ভাড়া যা ছিল, কোভিড সংকটের পর বর্তমান সময়েও ওই একই বেড ভাড়া নিতে হবে। অর্থাৎ বেড ভাড়া বাড়ানো যাবে না।
- কোনও পরিস্থিতিতেই রোগী ফেরানো যাবেনা। তিনি অগ্রিম দিতে না পারলেও ভর্তি নিতে হবে। রোগীর আত্মীয়দের ১২ ঘন্টা সময় দিতে হবে।
- প্রত্যেক রোগীর আত্মীয়স্বজনকে অনলাইনে জানতে হবে রোগী কেমন আছেন।
- চিকিৎসকের ফি বা ভিজিট ১,০০০ টাকার বেশি হবে না। তবে কোনও চিকিৎসক একাধিকবার ভিজিট করলে তাঁর ক্ষেত্রে ফি বাড়ানো যাবে। তবে সেটা ২০০০ টাকার বেশি হবেনা।
- করোনা রোগীদের কী কী পরীক্ষা করা হবে, তা কতবার করা হবে। এই সংক্রান্ত নির্দেশিকা তৈরি করতে প্যাথলজি ও রেডিয়োলজির বিভাগের চিকিৎসকদের নিয়ে ছয় সদস্য কমিটি গঠন করা হয়েছে।
- হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য খরচের রেট চার্ট রাখতে হবে। হাসপাতালের প্রবেশপথে, রিসেপশন এবং টাকা জমা দেওয়ার কাউন্টারের সামনে সেই রেট চার্ট ডিসপ্লে করতে হবে। যা খালি চোখে যেন ৬ ফুট দূরত্ব থেকে দেখা যায়।
- প্রত্যেক বেসরকারি হাসপাতালের ডিসপ্লে বোর্ডে স্বাস্থ্য কমিশনের যোগাযোগের নম্বর রাখতে হবে। যাতে রোগীর আত্মীয় পরিজনরা যোগাযোগ করতে পারেন।
Post a Comment
Thank You for your important feedback