লোকাল ট্রেন, মেট্রো চালাতে কী কী ব্যবস্থা নিচ্ছে রেল?


সেপ্টেম্বরের শুরুতেই শুরু হতে চলেছে আনলক পর্ব ৪। জানা যাচ্ছে এই পর্বে আরও বেশ কয়েকটি বিষয়ে ছাড় দিতে চলেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। এরমধ্যে সবচেয়ে জল্পনা চলছে মেট্রো ও লোকাল ট্রেন চালানো নিয়ে। যদিও মেট্রো ও লোকাল ট্রেন নিয়ে স্পষ্ট কোনও নির্দেশিকা আসেনি বলেই বলেই জানাচ্ছেন কলকাতা মেট্রো, পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব রেলের কর্তারা। তবে নির্দেশিকা এলেই যে ট্রেন চালানোর মতো পরিকাঠামো তৈরি সেটা মেনে নিচ্ছেন রেল কর্তারা। মেট্রো সূত্রে জানা যাচ্ছে, পরিষেবা চালুর অনুমতি মিললে রাজ্য সরকারের সঙ্গে সমন্বয় রেখেই ট্রেন চালাতে চায় মেট্রো কর্তারা। আপাতত জানা যাচ্ছে, কম সংখ্যক কর্মী নিয়ে কম সংখ্যক ট্রেন চালানো হতে পারে। প্রত্যেক স্টেশনে ভিড় নিয়ন্ত্রন করতে ডিজিটাল প্রযুক্তি ও অ্যাপের ওপর নির্ভর করার চিন্তাভাবনা চলছে। সেক্ষেত্রে মেট্রো প্ল্যাটফর্মে ভিড় নিয়ন্ত্রন করা গেলেও স্টোশনের বাইরে ভিড় জমে যেতে পারে। স্টেশনে ঢোকার মুখে লাইন দীর্ঘতর হতে পারে অফিস টাইমে। ফলে এই ভিড় নিয়ন্ত্রনের জন্যই রাজ্য প্রশাসনের সাহায্য প্রয়োজন বলে মনে করছেন মেট্রোরেলের কর্তারা।

ভিড় নিয়ন্ত্রনে মেট্রো রেলের পরিকাঠামো কিছুটা থাকলেও লোকাল ট্রেন নিয়ে চিন্তায় রেল কর্তারা। সেপ্টেম্বরেই লোকাল ট্রেন চালুর জল্পনা বাড়ছে। এক্ষেত্রেও পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব রেলের কর্তারা জানাচ্ছেন, নির্দেশ এলেই পরিষেবা চালু করতে প্রস্তুত তাঁরা। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মতে লোকাল ট্রেনের বিভিন্ন স্টেশনে ভিড় নিয়ন্ত্রনই একমাত্র চ্যালেঞ্জ। শিয়ালদা ডিভিশনের ডিআরএম শীলেন্দ্রপ্রতাপ সিং অবশ্য জানিয়েছেন, স্টেশনে প্রবেশ করার সময়ই ভিড় নিয়ন্ত্রন করার চিন্তাভাবনা চলছে। প্রতিটি স্টেশনে যাতে নির্দিষ্ট প্রবেশপথ দিয়েই যাত্রীরা প্রবেশ করতে পারে সেটা দেখা হচ্ছে। তিনি আরও জানিয়েছেন, টিকিট ছাড়া কাউকেই স্টেশনে ঢুকতে দেওয়া হবেনা। এমনকি যাত্রীদের জন্য স্টেশনে প্রবেশপথ নির্দিষ্ট করতে স্টেশন চত্বরে পাচিল তোলার কাজও শুরু হয়েছে কযেকটি স্টেশনে।

আপাতত স্টেশন ও ট্রেনের কামরায় কোনও হকার প্রবেশ করতে পারবেন না বলেই জানাচ্ছেন রেলকর্তারা। গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনগুলিতে বসানো হবে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও মাস্কের দোকান। কিন্তু রেলের কাছে চ্যালেঞ্জ বড় স্টেশনগুলিতে ভিড় নিয়ন্ত্রণ করা। হাওড়া ডিভিশনের হাওড়া, ব্যান্ডেল, বর্ধমান বা শিয়ালদা ডিভিশনের বালিগঞ্জ, দমদম, বিধাননগর রোড, বারাসত, নৈহাটি, ব্যারাকপুরের মতো স্টেশনে অফিসটাইমে ভিড় হয় অত্যাধিক। রেল কর্তাদের দাবি, এই স্টেশনগুলিতে সিসিটিভি নজরদারি বাড়ানো হবে। পাশাপাশি আরপিএফ কর্মীরাও নজরদারি চালাবেন। এছাড়া হাওড়ার মতো স্বয়ংক্রিয় যন্ত্রের মাধ্যমে যাত্রীদের দেহের তাপমাত্রা মাপা হবে। অ্যাপ নির্ভর ই-টিকেটিংয়ের ওপর জোর দেবে রেল। প্রয়োজনে টিকিট কাউন্টারের সংখ্যাও বাড়ানো হবে। সর্বপরি কোনওরকম আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হলে রাজ্য প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় রাখা হবে। তবুও প্রশ্ন থেকেই যায়, ভিড় এড়িয়ে কতটা সফলভাবে চালানো যাবে লোকাল ট্রেন।

Post a Comment

Thank You for your important feedback

Previous Post Next Post