রেডিও ও ‘মহিষাসুরমর্দিনী’ কি বিদায়ের পথে?

বাণীকুমার, পঙ্কজ মল্লিক, বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের মহালয়া। হ্যাঁ মহালয়ার ভোরে মহিষাসুরমর্দিনী অনুষ্ঠানের কথাই বলছি। আজ মহালয়া, নিয়ম মেনেই এদিন ভোরে রেডিওতে বাজলো মহিষাসুরমর্দিনী। বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের কালজয়ী কন্ঠ ও উপস্থাপণা আপামর বাঙালির কাছে আজও নস্টালজিয়া। কিন্তু সময়ের সঙ্গে যেন কিছুটা ফিকে হয়েছে ঐতিহ্য। আধুনিক গ্যাজেটের ধাক্কায় হারিয়েছে রেডিও। কিন্তু একটা সময় ছিল যখন ভোরের মহিষাসুরমর্দিনী অনুষ্ঠান শোনা বাঙালি পরিবারে বাধ্যতামূলক ছিল। যে যেখানেই ত্থাকুন, পুজোর গন্ধ পাওয়ার জন্য রেডিও বা ট্রানজিস্টার খুলে রাখতেন রাত থেকেই, ঘুম এসে যেন বাধা না দেয়। এক আবেগ যাতে মহানায়ক উত্তমকুমারেরও প্রবেশ অধিকার ছিল না।
তাই ৭০ দশকের মধ্যভাগে বীরেন্দ্রাকৃষ্ণকে বাদ দিয়ে উত্তমকে গ্রহণ করেনি বঙ্গসমাজ। এরা প্রায় সকলেই বিদায় নিলেও তাঁদের রেকর্ড করা মহিষাসুরমর্দিনী শোনা বন্ধ হয়নি। আজ টেলিভিশন, মোবাইল ফোন, ইন্টারনেটের যুগ। রেডিও ট্রানজিস্টর বিদায় নিয়েছে কবেই। স্রেফ শোনার ব্যাপারে উৎসাহী নয় বর্তমান প্রজন্ম। তারা ‘মুভি’ চায়। পুরাতনীরা হয়তো সিডি বা মোবাইলে শুনে নেন। অবস্থা এমন যে প্রধানমন্ত্রীর রেডিও অনুষ্ঠানও টেলিভিশনে শুনতে হয়। যুবারা চায় নতুন কিছু। তাই টেলিভিশন সংস্থাগুলি ফিচারের মাধ্যমে কিছু না কিছু করে থাকে। এরপর এই সংস্কৃতিও থাকবে কিনা কে জানে?

Post a Comment

Thank You for your important feedback

Previous Post Next Post