রাতভর ধরণা, ভোরে চা নিয়ে এলেন খোদ ডেপুটি চেয়ারম্যান, প্রশংসা মোদির

কৃষি বিল নিয়ে বিক্ষোভ দেখানো ও অভব্যতার জন্য রাজ্যসভার ৮ সাংসদকে সাত দিনের জন্য বহিস্কার করেছিলেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান। এরমধ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের ২ সাংসদও রয়েছেন। রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যানের হরিবংশের সামনেই তুমুল বিক্ষোভ দেখায় বিরোধী দলগুলির সাংসদরা। তাঁর সামনের মাইক্রোফোন কেঁড়ে নেওয়ার চেষ্টা হয়, এমনকি রুলবুক ছিঁড়েও বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তৃণমূল সহ আপের কয়েকজন সাংসদ। এরপরই রাজ্যসভার চেয়ারম্যান ভেঙ্কাইয়া নাইডু ওই ৮ সাংসদকে সাতদিনের জন্য বহিস্কার করেন। সোমবার দুপুর থেকেই ওই ৮ সাংসদ সংসদের বাইরে গান্ধিমূর্তির সামনে ধরণায় বসেন। ডেরেক ও ব্রায়েন, দোলা সেন, সঞ্জয় সিং, রাজু সাতাব, কে কে রাগেশ, রিপুন বোরা, সৈয়দ নাজির হুসেন এবং এলামারান করিম ধরণা বসেন।
সারারাতই তাঁরা ধরণায় বসেছিলেন গান্ধিমূর্তির পাদদেশে। কিন্তু মঙ্গলবার ভোরে সৌজন্যের রাজনীতির এক বিরল নজীর দেখলেন দেশবাসী। খোলা আকাশের নীচে রাতভর ধরণা দিয়ে ক্লান্ত সাংসদরা যখন একটু হাঁটাহাটি করছেন তখনই সেখানে পৌঁছে যান হরিবংশ। যাকে বিক্ষোভ দেখিয়ে বহিস্কৃত হয়েছিলেন ৮ সাংসদ, সেই তিনিই মঙ্গলবার ভোরে পৌঁছে গেলেন ধরণামঞ্চে। সঙ্গে নিয়ে গেলেন চা-বিস্কুট। ধরণারত সাংসদদের চা খেতে অনুরোধ করেন রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যান হরিবংশ। কিন্তু ধরনারত সাংসদরা চা খেতে অস্বীকার করেন। উল্টে তাঁরা এটাকে ‘চা-রাজনীতি’ বলেও কটাক্ষ করেন।
যদিও রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ মনে করছেন এটা বেনজির দৃষ্টান্ত। যার বিরুদ্ধে গণতন্ত্রকে পদানত করার অভিযোগ উঠেছে, তিনিই নিজেই চা হাতে পৌঁছে গেলেন বিরোধী সাংসদের কাছে। পুরো ঘটনায় অবশ্য রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যানের পাশেই দাঁড়ালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মঙ্গলবার সকালেই তিনি টুইট করে প্রশংসা করেন হরিবংশের। মোদি টুইটে লেখেন, ‘দু দিন আগেই যাঁরা তাঁদের উপর আক্রমণ করেছিলেন ও তাঁকে অপমান করেছিলেন, ধরনায় বসা সেই সাংদদের ব্যক্তিগতভাবে চা পরিবেশন করার অর্থ হল, শ্রী হরিবংশ জি দয়ালু ও বিরাট মনের অধিকারী। এতে তাঁর মহত্ব প্রকাশ পায়। হরিবংশ জি-কে অভিনন্দন করার ক্ষেত্রে সারা দেশের মানুষের সঙ্গে আমিও যোগ দিলাম’।

Post a Comment

Thank You for your important feedback

Previous Post Next Post