ডাইনি অপবাদে এক গৃহবধূকে গ্রামছাড়ার নিদান। আর এই ঘটনা ঘিরেই উত্তেজনা ছড়াল পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রাম থানার দিকনগরের কেওতলায়। অশান্তি চরমে উঠলে পুলিস ও গ্রামবাসীদের মধ্যে খণ্ডযুদ্ধ বেঁধে যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটাতে হয় বলেও জানা গিয়েছে। পরে পুলিস ওই গৃহবধূকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, আউশগ্রাম থানার দিকনগরের কেওতলায় গ্রামের বুধিন বাস্কে নামে এক মহিলার মনসা পুজোর ভর হয়। এবং ভর চলাকালীন তিনি গ্রামেরই এক গৃহবধূকে ডাইনি অপবাদ দেন বলে অভিযোগ। পাশাপাশি তিনি গ্রামবাসীদের জানিয়ে দেন ওই গৃহবধূকে গ্রামছাড়া না করলে এলাকার অমঙ্গল হবে। এরপরই সালিসি সভায় ওই গৃহবধূকে গ্রাম ছাড়ার নিদান দেয় গ্রামের মোড়লরা।
এরপর ওই বধূকে বাপের বাড়ির কেউ নিতে না এলেই এলাকায় ছড়ায় উত্তেজনা। খবর পেয়ে পুলিশ ওই গ্রামে পৌঁছালে উত্তেজনা চরমে ওঠে। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছুঁড়তে থাকে উত্তেজিত গ্রামবাসী। পুলিশও তাঁদের ছত্রভঙ্গ করতে দুই রাউন্ড কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটায়। পরে বিশাল পুলিস বাহিনী গিয়ে গৃহবধূকে উদ্ধার করে বননবগ্রাম স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করেছে। এই ঘটনায় পুলিশ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে। আউশগ্রামের প্রত্যন্ত গ্রামগুলি যে এখনও কুসংস্কারে আচ্ছন্ন তা এই ঘটনা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে। যুক্তিবাদীরা বলছেন, ঠাকুরের ভর আজ বিজ্ঞানের যুগে মেনে নেওয়া সম্ভব নয়। হতেই পারে ভর হওয়া মহিলার কোনও শারীরিক বা মানসিক সমস্যা রয়েছে। পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে আউশগ্রাম থানার পুলিশ।
Post a Comment
Thank You for your important feedback