করোনা আবহেই পুজোর ঢাকে কাঠি পড়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিন দুয়েক আগেই নেতাজি ইন্ডোরে শহরের পুজো কমিটিগুলের সঙ্গে বৈঠক করে কিছু নিয়মনীতি জানিয়েছিলেন। সেই সঙ্গে এবারের করোনা আবহের জেরে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত বেশিরভাগ পুজো কমিটি। মুখ্যমন্ত্রী তাই ২০ হাজারের বদলে এবার পুজো অনুদান ৫০ হাজার টাকা করে দিয়েছেন। প্রশাসনিক ও দমকলের ছাড়পত্র বিনামূল্যে করার পাশাপাশি বিদ্যুতের বিলও অর্ধেক করে দিয়েছেন। এবার নবান্ন থেকে দুর্গাপুজোর একটি গাইডলাইন প্রকাশ করা হল। এই গাইডলাইন মেনেই পুজোর আয়োজন করতে হবে পুজো কমিটিগুলোকে। ওই গাইডলাইনে বলা হয়েছে, পুজো হবে অনাড়ম্বর, করা যাবে না কোনও জলসা ও শোভাযাত্রা।
দেখে নিন গাইডলাইনের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য…
- পুজোর প্যান্ডেল খোলামেলা করতে হবে। শারীরিক দূরত্ব যাতে বজায় থাকে, সে দিকে বিশেষ নজর দিতে হবে কমিটিগুলোকে।
- প্যান্ডেলে ঢোকা ও বেরোনোর রাস্তা আলাদা রাখতে হবে।
- প্যান্ডেলে স্যানিটাইজার এবং মাস্ক রাখা বাধ্যতামূলক। যাঁরা মাস্ক আনতে ভুলে যাবেন, তাঁদের মাস্ক দিতে হবে। বেশি সংখ্যক স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ। এবং স্বেচ্ছাসেবকদের ফেস শিল্ড ব্যবহার করতে হবে।
- খোলামেলা জায়গায় করতে হবে অঞ্জলি ও প্রসাদ বিতরণের অনুষ্ঠান।
- অনলাইনেই এবছর পুজোর অনুমতি নিতে হবে। দমকল, পুরসভা বা পঞ্চায়েত কোনও ফি নেবে না। সিইএসসি এবং রাজ্য বিদ্যুৎ নিগম ৫০ শতাংশ ছাড় দেবে বিদ্যুৎ বিলের উপরে।
- সব ধরনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বন্ধ থাকছে এ বছর।
- করোনা পরিস্থিতির জন্য এবছর রেড রোডে পুজো কার্নিভাল বন্ধ থাকবে।
- উদ্বোধন এবং বিসর্জনে বেশি ভিড় করা যাবে না। সেরকম হলে উদ্বোধন ভার্চুয়াল মাধ্যমে করা যেতে পারে।
- তৃতীয়া থেকে একাদশী পর্যন্ত রাতে প্রতিমা দর্শন করা যাবে।
- কোনও পুরস্কার-কমিটি একসঙ্গে অনেকগুলি গাড়ি নিয়ে প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে ঘুরতে পরবে না। সর্বোচ্চ দুটি গাড়ি নিয়ে ঘোরা যাবে। এবং সব প্রক্রিয়া সকাল ১০টা থেকে বেলা ৩টের মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে।
Post a Comment
Thank You for your important feedback