জলদাপাড়ায় নয়া নিয়মে বিপাকে পর্যটকরা, ক্ষুব্ধ পর্যটন ব্যবসায়ীরা

একে করোনা মহামারীর কারণে পর্যটন ব্যবসা বিপুল ক্ষতির মুখে পড়েছে। তবে দীর্ঘ ছয়মাস বন্ধ থাকার পর গত ২৩ সেপ্টেম্বর পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছিল আলিপুরদুয়ার জেলার চিলাপাতা, কোদালবস্তি, জলদাপাড়া জঙ্গল। পর্যটকও আসতে শুরু করেছিলেন। আশায় বুক বাঁধছিলেন এলাকার পর্যটন ব্যাবসার সঙ্গে যুক্ত মানুষজন। এই সময়ই আচমকা নতুন এক নির্দেশিকা জারি করল রাজ্যের বনদফতর। আর এই নির্দেশিকার জেরে এই পর্যটন কেন্দ্রগুলিতে ঘুরতে এসে জঙ্গল সাফারি করতে না পেরে হতাশ হয়ে ফিরে যাচ্ছে পর্যটকরা।

ওই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, ১০ বছরে নীচে ও ৬৫ বছরে উপরে জঙ্গলে প্রবেশের ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ রয়েছে। ফলে টিকিট কেটেও বেশ কয়েকটি পর্যটকের দল সাফারি না করতে পেরে ফিরে গিয়েছেন। অপরদিকে গরুমারা অভয়ারণ্যে সুস্থতার সার্টিফিকেট দেখালেই পর্যটকদের জঙ্গলে প্রবেশের অনুমতি দিচ্ছে বন দফতর। মঙ্গলবারই কোদালবস্তি এলাকার তিনটি পর্যটকদের দল জঙ্গল সাফারি টিকিট কেটে জঙ্গলে প্রবেশ করতে পারেনি। কেননা তাদের সঙ্গে কোলের শিশু ছিল। এমনকি বুধবারও চিলাপাতা জঙ্গলে একটি পর্যটকের দল জঙ্গলে প্রবেশের টিকিট কেটে জঙ্গল সাফারি করতে গেলে তাদের সঙ্গে শিশু থাকায় বনদপ্তর আটকে দেয়। যদিও অভিযোগ, পরবর্তী সময়ে তাঁদের টাকাও ফিরিয়ে দেয়নি বন দফতর। ফলে ক্ষুব্ধ হয়ে ফিরে যান পর্যটকরা।

 

এখানেই সিঁদুরে মেঘ দেখছেন পর্যটন ও হোটেল ব্যবসায়ীরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, এমনিতেই ট্রেন বন্ধ থাকার ফলে পর্যটক আসছে সল্প সংখ্যক। হাতেগোনা কয়েকজন আসা পর্যটক জঙ্গল সাফারি করতে না পেরে তাঁরাও ফিরে যাচ্ছেন। মঙ্গলবার সমস্ত পর্যটকদের জঙ্গলে প্রবেশের দাবিতে বন দফতের চিলাপাতা রেঞ্জার অফিসে ব্যবসায়ীরা ডেপুটেশন প্রদান করেন ও বিক্ষোভ দেখান। অপরদিকে মঙ্গল ও বুধবার উত্তরকন্যায় প্রশাসনিক বৈঠকে হাজির ছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। আলিপুরদুয়ারের তৃণমূল নেতাদের কাছে জেলার পরিস্থিতি জানতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু জেলার অর্থনীতি যে পর্যটন ব্যবসার উপর দাঁড়িয়ে, সেই বিষয়ে কেউ মুখ্যমন্ত্রীর কাছে তোলেননি। ফলে শাসক দলের ওপর চরম ক্ষুব্ধ জেলার পর্যটন ব্যবসায়ীরা।

 

Post a Comment

Thank You for your important feedback

Previous Post Next Post