করোনা সংক্রমণ ও দীর্ঘ লকডাউনে বন্ধ ছিল চা-বাগানগুলি। পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিং, আলিপুরদুয়ার বা ডুয়ার্সের সবকটি চা-বাগানেও ছিল লকডাউনের থাবা। মাস তিনেক বন্ধ থাকার পর খুলেছিল চা-বাগান। উৎপাদন এতদিন বন্ধ থাকার কারণে চা রফতানিও বন্ধ ছিল। ফলে লোকসানের বহর অনেকটাই বেড়েছে চা-বাগানগুলির। তবে সব বাঁধা কাটিয়ে অবশেষে খুশির খবর এল চা বস্তিগুলিতে। এবারের উৎসবের মরশুমে ২০ শতাংশ বোনাস পাবেন চা-শ্রমিকরা। যা গত বছরের তুলনায় দেড় শতাংশ বেশি। ফলে স্বভাবতই খুশির হাওয়া রাজ্যের চা শ্রমিকদের মধ্যে। শুক্রবার রাজ্যে চা মালিকদের সংগঠনগুলোর নীতি নির্ধারক কমিটি সিসিপিএ (কনসালটেটিভ কমিটি ফর প্লান্টেশন এসোসিয়েশনস) এবং চা-শ্রমিক সংগঠনগুলোর সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক হয়।
এই বৈঠকেই সিদ্ধান্ত হল এবার ২০ শতাংশ হারেই বোনাস দেওয়া হবে। এই বৈঠকে চা মালিকদের সংগঠন আইটিপিএ, ডিবিআইটিএ-সহ বিভিন্ন সংগঠনগুলোর প্রতিনিধিরা এই ভার্চুয়াল বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। সূত্রের খবর, দার্জিলিং জেলা বাদ দিয়ে ডুয়ার্স-তরাই অঞ্চলে ১৬৮টি চা-বাগান খোলা রয়েছে। এর মধ্যে ৩৯টি চা-বাগান রুগ্ন অবস্থায় রয়েছে। বরাবরই দার্জিলিংয়ের চা-বাগানে বোনাসের সিদ্ধান্ত আলাদাভাবে নেওয়া হয়। জানা গিয়েছে গত ১৫ সেপ্টেম্বর মালিক ও শ্রমিক পক্ষের মধ্যে প্রথম বৈঠক হয়েছিল। সেই বৈঠকে মালিক পক্ষ দাবি করে কম বোনাস দেওয়া হবে। যার বিরোধিতা করে শ্রমিক সংগঠনগুলি।
এদিন দ্বিতীয় বৈঠকে দুই পক্ষই সহমত হয়ে দেড় শতাংশ বোনাস বাড়ানো হল। CITU-র আলিপুরদুয়ার জেলা সম্পাদক বিকাশ মাহালি জানিয়েছেন, ‘চা শ্রমিকদের পুজোর বোনাস এবার দেড় শতাংশ বেড়েছে। রুগ্ন চাবাগানে গত বছর শ্রমিকদের যে হারে বোনাস দেওয়া হয়েছিল এই বছর সেই সব চাবাগানে দেড় শতাংশ বেশি পুজোর বোনাস পাবেন চা শ্রমিকরা। অন্যান্য সব ভালো অবস্থায় থাকা চা-বাগানে দেড় শতাংশ বাড়িয়ে এবার পুজোর বোনাস ২০ শতাংশ করা হয়েছে। আমরা বোনাসের এই সিদ্ধান্তে খুশি’।
Post a Comment
Thank You for your important feedback