প্রসূন গুপ্ত
সুদীপ রায়বর্মন, ত্রিপুরার রাজনীতিতে উল্লেখযোগ্য নাম। গান্ধিবাদী পরিবার থেকে একসময় মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন তাঁর বাবা সমীর রায়বর্মন। দীর্ঘদিন ধরে তাঁর লড়াই ছিল ত্রিপুরা বামফ্রন্টের সঙ্গে। পরে রাহুল গান্ধির সাথে বিরোধিতা করে অনুগামী-সহ দল ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন। কিন্তু ত্রিপুরায় তৃণমূলের সেভাবে সংগঠন না করার ফলে অবশেষে বিজেপিতে যান প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর পুত্র। বিগত বিধানসভায় ত্রিপুরায় ক্ষমতায় আসে বিজেপি। এলাকার মানুষের ধারণা ছিল সুদীপ মুখ্যমন্ত্রী হতে পারেন। কিন্তু দল বিপ্লব দেবকে দায়িত্ব দেয়। সুদীপকে অবশ্য মন্ত্রিসভায় নেওয়া হয়। কিন্তু তারপর থেকেই সুদীপের সম্পর্ক খারাপ হতে থাকে মুখ্যমন্ত্রীর। শেষপর্যন্ত তাঁকে সরিয়েও দেওয়া হয় মন্ত্রীসভা থেকে।
সোমবার ত্রিপুরা বিধানসভার এক দিনের অধিবেশন ছিল। রবিবার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের বাড়িতে বিজেপির পরিষদীয় দলের বৈঠক ছিল। সূত্রের খবর, ওই বৈঠকে ডাকা হয়নি সুদীপকে। এ বিষয়ে CN ওয়েব পোর্টালকে সুদীপ জানালেন, ‘এটা হয়তো দলের ইচ্ছা। তবে আজ আমি এখন কিন্তু বিধানসভায় এসেছি’। কিন্তু এমনটা হল কেন? এই প্রশ্নের উত্তরে সুদীপ বলেন, ‘এটাই নিয়ম, মেনে নিচ্ছি’। অবশ্য ত্রিপুরার মুখ্যসচেতক কল্যাণী রায় জানিয়েছেন, ‘তাঁকে (সুদীপ রায়বর্মন) ডাকা হয়েছিল’। তবে কী কংগ্রেস কালচারের সুদীপ নিজেকে মানিয়ে নিতে পারেননি সংঘ সংস্কৃতিতে?
Post a Comment
Thank You for your important feedback