রাজনাথের সঙ্গে বৈঠকের আর্জি চিনের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর

বিগত চারমাস ধরে লাদাখে যে উত্তেজনার পরিস্থিতি রয়েছে তার জন্য ভারত সরাসরি চিনকেই দায়ী করল। বৃহস্পতিবারই বিদেশমন্ত্রকের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, গত চারমাস ধরে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে এটাই স্পষ্ট হয়েছে যে, লাদাখ সীমান্তে পরিস্থিতির অবনতির জন্য দায়ী চিন। তাঁরা একতরফাভাবে সীমান্তের স্থিতাবস্থা নষ্ট করার চেষ্টা করে চলেছে। যার ফলে গত তিন দশকে সীমান্তে যে শান্তি ও সুস্থিতি বজায় ছিল, তা বিঘ্নিত হয়েছে। পাশাপাশি বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর জানিয়েছেন, কূটনৈতিক পথেই সমস্যার সমাধান সম্ভব। অপরদিকে সূত্রের খবর, রাশিয়ায় শুরু হওয়া সাংহাই রাষ্ট্রগোষ্ঠীর বৈঠকেই ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সঙ্গে চিনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী আয়েই ফেংগে আলাদা করে বৈঠক করতে চেয়েছেন।

কূটনৈতিক মহলের মতে, পূর্ব লাদাখে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ভারতীয় সেনার কড়া জবাবে যথেষ্ঠ বেকায়দায় বেজিং। তাই চিনা প্রতিরক্ষামন্ত্রীর আলোচনার প্রস্তাবে রাজি ভারত। শুক্রবারই এই বৈঠকের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। যদিও সাংহাই রাষ্ট্রগোষ্ঠীর বৈঠকে বিবদমান দুদেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর বৈঠকের কোনও কর্মসূচি ছিলনা। অপরদিকে, পূর্ব লাদাখে এখনও কয়েক জায়গায় সেনা না সরানো এবং চিনের উস্কানিমূলক পদক্ষেপ নিয়ে ক্ষুব্ধ নয়া দিল্লি। ফলে নরম না হয়ে কড়া মনোভাব নিয়ে পরিস্থিতি মোকাবিলা করতেই সুর নরম করতে বাধ্য হয়েছে বেজিং।

আবার কূটনৈতিক মহলের একাংশের মতে, রাশিয়া কার্যত মধ্যস্থতার ভূমিকা নেওয়ার পরই দুদেশের মধ্যে শীর্ষ বৈঠকের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। কারণ রাশিয়া ভারত ও চিন দুদেশের সঙ্গেই বন্ধুত্বপূর্ণ মনোভাব নিয়ে চলে। ফলে মধ্যস্থতায় রাশিয়ার ভূমিকা কার্যকরি হতে পারে। অপরদিকে প্যাংগং লেকের আশেপাশের এলাকায় চিনের অনুপ্রবেশের ছক কড়া হাতে ভেস্তে দেওয়ার পরই বেজিং বুঝতে পেরেছে সহজেই ভারতকে চাপে ফেলা যাবে না। তাই আপাতত দুদেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর বৈঠকের দিকেই তাঁকিয়ে সামরিক কর্তারা।

Post a Comment

Thank You for your important feedback

Previous Post Next Post