হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে এসে রাস্তায় বসে পড়লেন করোনা আক্রান্তরাই। হাসপাতালের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত অব্যবস্থা ও নিম্নমানের খাবার দেওয়ার অভিযোগে পথ অবরোধ করলেন করোনা রোগীরাই। ভয়ানক এই ঘটনার খবর পাওয়া গিয়েছে পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথিতে। আর এই ঘটনাই ফের একবার রাজ্যের কোভিড পরিষেবার ওপর বড়সড় প্রশ্নচিহ্ন তুলে দিল বলেই অভিযোগ বিরোধীদের। কাঁথির সঞ্জীবন হাসপাতালের ঘটনা। মঙ্গলবার সকালে ওই কোভিড হাসপাতালের বাইরে বেরিয়ে আসেন বেশ কয়েকজন করোনা রোগী।
তাঁরা হাসপাতালের সামনে ১১৬-বি কাঁথি-দিঘা জাতীয় সড়ক অবরোধ করে দীর্ঘক্ষণ বিক্ষোভ দেখান। এই ঘটনায় এলাকায় যথেষ্ট আতঙ্ক ছড়ায়। অনেকেই সেখান থেকে পালিয়ে যান দ্রুত। খবর যায় পুলিশে। পরে কাঁথি থানার বিশাল পুলিশবাহিনী এসে করোনা আক্রান্তদের বুঝিয়ে ভেতরে পাঠায়। দীর্ঘক্ষণ অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে কাঁথি-দিঘা জাতীয় সড়ক। বিক্ষোভকারীদের দাবি, হাসপাতালের খাবারের মান অতি খারাপ, খাবার ঠিকমতো সময়ে দেওয়া হয় না। পাশাপাশি হাসপাতালের ভেতর অপরিষ্কার, বেড, বাথরুম সবই অত্যন্ত নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর। চিকিৎসকদের দেখা পাওয়া যায় না বেশিরভাগ সময়ই।
বেশ কয়েকদিন ধরেই এই নিয়ে অসন্তোষ জমা হয়েছিল কাঁথির সঞ্জীবন কোভিড হাসপাতালে। এদিন সেই ছাই-চাপা আগুনের বহিঃপ্রকাশ হল বলেই দাবি করোনা চিকিৎসাধীন আক্রান্তদের। প্রথমে তাঁরা হাসপাতালের ভিতরেই বিক্ষোভ দেখায়। পরে কয়েকজন হাসপাতালের বাইরে বের হয়ে রাস্তায় বসে পড়েন। তাঁদের সঙ্গে বাকি রোগীরাও যোগ দেন পরে। পুরো ঘটনা স্বীকার করে নন্দীগ্রামের সিএমওএইচ সুব্রত রায় জানান, হাসপাতালের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তাঁর আগে সেখানে থাকা করোনা রোগীদের অন্য হাসপাতালে স্থানান্তরিত করার চেষ্টা চলছে। উল্লেখ্য, মাসখানেক আগেই কাঁথির সঞ্জীবন হাসপাতালকে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফ থেকে করোনা রোগীদের চিকিৎসার জন্য কোভিড হাসপাতাল রূপে চালু করা হয়। এরপর থেকেই বিভিন্ন সময় এই হাসপাতালের বিরুদ্ধে করোনা রোগীদের থেকে উঠে আসছিল একাধিক অভিযোগ।
Post a Comment
Thank You for your important feedback