জঙ্গলের বুক চিরে চলে গিয়েছে রেললাইন। অন্য সময় এই লাইনেই ঘন ঘন চলত ট্রেন। তবে বর্তমান করোনা আবহে বন্ধ যাত্রীবাহী ট্রেন পরিষেবা। তবে কিছু মালবাহী ট্রেন চলছে জঙ্গলের লাইন ধরে। তাই পড়ে আছে ফাঁকা রেললাইন। নেই পর্যটকের আনাগোনা। একসময় যখন গমগম করত আলিপুরদুয়ার স্টেশন সেখানে এখন হাতে গোনা মাত্র কয়্কেজনের যাতায়াত। করোনা প্রভাবে আমূল বদল গেছে পরিবেশ পরিস্থিতি। ঘরবন্দি হয়েছে মানুষ। বদল এসেছে মানুষের জীবনযাবনেও। যার ব্যাপক প্রভাব পড়েছে পর্যটন ব্যবসায়। কার্যত ধুঁকছে পর্যটনশিল্প।
তাই পুজোর আগেই কলকাতা থেকে উত্তরে ট্রেন পরিষেবা সচল করার দাবি উঠছে বিভিন্ন মহলে। সম্পূর্ণ মাত্রায় পরিষেবা সম্ভব না হলেও অন্তত কিছু সংখ্যক ট্রেন পরিষেবা চালুর দাবি করছেন একাংশ। প্রায় বিছিন্ন উত্তর থেকে দক্ষিণ বঙ্গের যোগাযোগ ব্যবস্থা, ফলে কার্যত নির্বসনে বক্সা জঙ্গল। জঙ্গলের বুক চিরে শোনা যাচ্ছে না ট্রেনের এই শব্দ। নেই পর্যটকের আনাগোনাও। লকডাউন উঠে গিয়ে শুরু হয়েছে আনলক পর্ব। ভারত ইতিমধ্যেই আনলক-৪ পর্বে প্রবেশ করেছে। তাই ডুয়ার্সের পর্যটন শিল্পের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা পর্যটন ব্যবসায়ীরা চাইছে নির্ধারিত ১৬ সেপ্টেম্বর খুলে যাক বক্সা জঙ্গল। আসুক পর্যটকরা, পর্যটকদের জন্য স্বাস্থ্যবিধির সমস্ত ব্যবস্থাই থাকবে পুরো ভ্রমণ সময় জুড়ে, দাবি পর্যটন ব্যবসায়ীদের।
কিন্তু ডুয়ার্সের বিভিন্ন জঙ্গল ও পর্যটন কেন্দ্র খুলে দিলেই তো হবে না, ট্রেন পরিষেবাও স্বাভাবিক হতে হবে। তাই পর্যটন ব্যবসায়ীদের কাতর আবেদন, পুনরায় চালু হোক ট্রেন। এই দাবিতেই আলিপুরদুয়ারের ডিআরএম-কে স্মারকলিপি জমা দিল আলিপুরদুয়ার ডিস্ট্রিক্ট ট্যুরিজম অ্যাসোসিয়েশন। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন চিলাপাতা ইকো-ট্যুরিজম সোসাইটি, জলদাপাড়া লজ ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনও। সূত্রের খবর, ডিআরএম-এর তরফে স্মারকলিপি জমা নিয়েছেন আলিপুরদুয়ারের ডিভিশনাল রেলওয়ে কমার্শিয়াল ম্যানেজার।
তিনি পর্যটন ব্যবসায়ীদের জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই রেলমন্ত্রকের কাছে শিয়ালদা থেকে তিস্তা-তোর্ষা ও কাঞ্চনকন্যা এক্সপ্রেস চালু করার প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। রেলও চাইছে ডুয়ার্সে পর্যটক আসুক। এতে রেলেরও লাভ হবে। ফলে সকলেরই এখন অপেক্ষা, কবে গড়াবে রেলের চাকা? ফের পর্যটকের ঢল নামবে ডুয়ার্স জুড়ে, এই আশায় দিন গুনছে ডুয়ার্সের অধিবাসী থেকে শুরু করে পর্যটন ব্যবসায়ীরা।
Post a Comment
Thank You for your important feedback