আইএসএল খেলার জন্য বিড পেপার জমা দিল ইস্টবেঙ্গল

অবশেষে মঙ্গলবার আইএসএল খেলার জন্য বিড পেপার জমা দিল ইস্টবেঙ্গল। সোমবারই চেষ্টা করেছিল ক্লাব, তবে আইনী কাগজপত্র চুরান্ত পরীক্ষার জন্য একদিন সময় বেশি নিলেন ক্লাব কর্তারা। ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের তরফে গভীর রাতে টুইট করে এই সুখবর জানানো হয়েছে। ফলে কয়েক কোটি লাল-হলুদ সমর্থক হাঁফ ছেড়ে বাঁচলেন। চলতি মরশুমে এটিকে-র সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে আইএসএল খেলবে মোহনবাগান ক্লাব। কিন্তু মূল স্পনসর কোয়েসের সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হয়ে যাওয়ার পর ইনভেস্টর নিয়ে সমস্যায় পড়েছিল ইস্টবেঙ্গল কর্তারা। অবশেষে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে ইনভেস্টর পায় শতবর্ষের ক্লাব। শ্রী সিমেন্ট বিনিয়োগ করে ইস্টবেঙ্গলে। এরপরই তোড়জোড় শুরু হয় আইএসএল-এ নাম নথিভূক্ত করার। ক্লাব কর্তাদের উপরও ছিল পাহাড় প্রমাণ চাপ। অবশেষে ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও আইএসএল আয়োজক সংস্থার যৌথ প্রচেষ্টায় আইএসএল খেলার সুযোগ আসে ইস্টবেঙ্গলের সামনে। অবশেষে বিড পেপার জমা করলেন তাঁরা। স্বভাবতই খুশি সমর্থকরা।
অপরদিকে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের লাইসেন্সিংয়ের সমস্যা মেটাতে আসরে নামল ফুটবল ফেডারেশন। সূত্রের খবর, আইএসএল বিড পেপারে ‘শ্রী সিমেন্ট ইস্টবেঙ্গল ফাউন্ডেশন’ নাম দিয়ে নতুন কোম্পানি হিসেবেই নথিভুক্ত করেছে ক্লাব। কিন্তু এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনের কাছে (এএফসি) ‘ইস্টবেঙ্গল ফুটবল ক্লাব প্রাইভেট লিমিটেড’ নামে লাইসেন্স নথিভুক্ত রয়েছে। এই নাম বদল না হলে সমস্যা তৈরি হবে আইএসএল খেলার ছাড়পত্র পেতে। এই সমস্যার সমাধান করতেই আসরে নামলেন ফেডারেশন সচিব কুশল দাস। তিনি চিঠি লিখেছেন এএফসি-কে। কুশল দাস চিঠিতে লিখেছেন, ’১৩ অক্টোবর পর্যন্ত এএফসির লাইসেন্সিংয়ের বিভিন্ন আপডেটের ব্যপারে শেষ দিন। এই করোনা আবহেও শ্রী সিমেন্টকে ইনভেস্টর হিসেবে পেয়ে গিয়েছে ইস্টবেঙ্গল। এই অবস্থায় ‘ইস্টবেঙ্গল ফুটবল ক্লাব প্রাইভেট লিমিটেড’ এর নাম বদলে নতুন কোম্পানি ‘শ্রী সিমেন্ট ইস্টবেঙ্গল ফাউন্ডেশন’-এর নামে লাইসেন্স না দিলে সমস্যায় পড়বে নতুন ইনভেস্টররা। তাই নতুন কোম্পানীর নামই ক্লাব লাইসেন্সিংয়ের জন্য নথিভুক্ত করা হোক’। সূত্রের খবর, কয়েকদিনের মধ্যেই ক্লাবের নাম পরিবর্তন করার জন্য বৈঠকে বসবেন ইস্টবেঙ্গল কর্তারা।

Post a Comment

Thank You for your important feedback

Previous Post Next Post