একুশের নির্বাচনেই তৃণমূল সরকারকে উৎখাতের ডাক দিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। বৃহস্পতিবার এক ভার্চুয়াল সভা থেকে তিনি এই ডাক দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার ছিল রাজ্য বিজেপির কার্যনির্বাহী সভা, সেখানেই অনলাইনে বক্তৃতা দিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। সেখানেই তিনি বুথস্তর থেকে নিজেদের উপস্থিতি বাড়াতে নির্দেশ দিলেন রাজ্য নেতৃত্বকে। তাঁর নির্দেশ, প্রতিটি বুথে হোয়্যাটসঅ্যাপ গ্রুপ চালু করতে হবে। তাঁর আরও নির্দেশ দলের সমস্ত সাংসদ, বিধায়ক ও নেতাদের তৃণমূল স্তরে পৌঁছাতে হবে। পাশাপাশি প্রত্যেক পদাধিকারীকে কমপক্ষে পাঁচ-সাতটি মণ্ডলে সফর করারও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
এদিন জেপি নাড্ডা বলেন, ‘এখানে যে পদাধিকারীরা আছেন, দিলীপদাও আছেন। আপনি অনেক সফর করছেন। কিন্তু আপনি সব পদাধিকারী এবং সাংসদের সফরের জন্য উৎসাহিত করুন। সফরে তাঁদের সামিল করে নিন। প্রত্যেককে কোনও না কোনও জেলার দায়িত্ব দেওয়া হোক। প্রত্যেককে কোনও না কোনও মণ্ডলের দায়িত্ব দেওয়া হোক। প্রত্যেক পদাধিকারীকে কমপক্ষে পাঁচ-সাতটি মণ্ডলের সফর করতে হবে। গ্রাম, বুথে শক্তি যাচাই করবেন তাঁরা’। পাশাপাশি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে কী কী প্রচার করতে হবে তারও দিশা দিয়েছেন নাড্ডা। তিনি এদিন বলেছেন, মূলত তিনটি ভাগে কনটেন্ট তৈরি করতে হবে। সেগুলি নিয়েই বুথস্তরে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ তৈরি করে প্রচার করতে হবে। কেন্দ্র, রাজ্য ও আঞ্চলিক স্তরের কনটেন্ট তৈরির নির্দেশ দিয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি।
কেন্দ্রীয় কনটেন্টে থাকবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঘোষিত বিভিন্ন প্রকল্প ও সুযোগ সুবিধার তথ্য। রাজ্য কনটেন্টে থাকবে বাংলায় কী কী কাজ হচ্ছেনা, কী কী সমস্যা রয়েছে সেসব আর আঞ্চলিক কনটেন্টে স্থানীয় সমস্যা তুলে ধরতে হবে। এই হোয়াটসঅ্যাপ প্রচারের সময়সীমাও বেঁধে দিয়েছেন তিনি। ১৫ দিন অন্তর এই কনটেন্ট পরিবর্তন করতে হবে বলেই দলীয় নেতৃত্বকে নির্দেশ দিয়েছেন জেপি নাড্ডা। পাশাপাশি তিনি এদিনও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তীব্র রাজনৈতিক আক্রমণ করেন। তিনি বলেন, বাংলায় পদ্মফুল ফুটবে ২০২১-এ। মমতাদির পায়ের তলা থেকে জমি সরে যাচ্ছে। বিজেপিকে আশীর্বাদ দিতে তৈরি বাংলার মানুষ। বিশ্বভারতী নিয়েও সরব হয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি। বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে গুণ্ডারাজ চলছে বলেও তোপ দাগেন তিনি।
Post a Comment
Thank You for your important feedback