‘গণতন্ত্রকে হত্যা, স্বৈরাচারী মনোভাব’ সাংসদদের বহিস্কার নিয়ে তোপ মমতার


রাজ্যসভায় হাঙ্গায় জড়ানোয় দলের দুই সাংসদ সাসপেন্ড হয়েছেন। এক সপ্তাহের জন্য তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েন ও দোলা সেন সহ ৮ জন বিরোধী সাংসদকে সাসপেন্ড করেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান। এই ঘটনা নিয়ে মুখ খুললেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেসের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার তিনি এক টুইট করে লেখেন, ‘কৃষকদের স্বার্থ রক্ষার জন্য লড়াই করা আটজন সাংসদের সাসপেনশনের ঘটনা দুর্ভাগ্যজনক এবং স্বৈরাচারী সরকারের মানসিকতাকে তুলে ধরছে। যারা গণতান্ত্রিক নিয়ম ও নীতিকে সম্মান করে না। আমরা মাথা নত করব না এবং সংসদ ও রাস্তায় নেমে এই ফ্যাসিবাদী সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করব’।
উল্লেখ্য কৃষি বিল নিয়ে প্রতিবাদের জেরে ডেরেক ও ব্রায়েন, দোলা সেন সহ অন্যান্য বিরোধী দলের ৮ রাজ্যসভার সাংসদকে বহিস্কার করা হয়। এই বিষয়েই কড়া প্রতিক্রিয়া দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। তিনি বহিস্কারের সিদ্ধান্তকে গণতন্ত্রের প্রতি অশ্রদ্ধা ও স্বৈরাচারী মনোভাবের কথাই বলছেন। তাঁর তোপ যে কেন্দ্রের শাসকদল বিজেপি সেটা বুঝতে অসুবিধা হয়না বলেই অভিমত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের। উল্লেখ্য, রবিবার সংসদের উচ্চকক্ষে কৃষি বিল নিয়ে আলোচনায় হই হট্টোগোল শুরু হয়। নির্ধারিত সময়ের পরও অধিবেশন চালিয়ে যাওয়া নিয়ে প্রতিবাদ করে কংগ্রেস সহ বিরোধী দলগুলি। অভিযোগ, ওই সময় ওয়েলে নেমে চেয়ারম্যানের ডেস্কের মাইক্রোফোন ভেঙে ফেলেন কয়েকজন সাংসদ। ডেপুটি চেয়ারম্যানের কাছে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদের পাশাপাশি কাগজ ছিঁড়ে দেওয়ার দৃশ্যও ক্যামেরায় ধরা পড়ে।

রবিবারের ঘটনা নিয়ে রীতিমতো ক্ষোভ প্রকাশ করেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান ভেঙ্কাইয়া নাইডু। তিনি বলেন, ‘গতকাল রাজ্যসভার জন্য একটা বাজে দিন ছিল। কয়েকজন সদস্য ওয়েলে চলে আসেন। ডেপুটি চেয়ারম্যানকে শারীরিক নিগ্রহের হুমকি দেওয়া হয়। তাঁকে দায়িত্ব পালনে বাধা দেওয়া হয়েছিল। এটা দুর্ভাগ্যজনক এবং নিন্দনীয়’। এরপরই তিনি তৃণমূলের দুই সাংসদ সহ ৮ জনকে বহিস্কারের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দেন। তাঁদের রাজ্যসভার কক্ষ ছেড়ে চলে যেতেও বলেন। এরই প্রতিবাদ করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।




Post a Comment

Thank You for your important feedback

Previous Post Next Post