মাথাব্যথা সবার কাছেই পরিচিত একটি সমস্যা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বর্তমান সময়ে মোবাইল, ল্যাপটপ, কম্পিউটার, ভিডিও গেম ইত্যাদিতে মাত্রাতিরিক্ত আসক্তি এবং অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাত্রার কারণে এই সমস্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। এছাড়াও, রাতে ঘুম না হওয়া, ঠিকমতো সকালের খাবার না খাওয়া, কাজের চাপ এসব কারণেও মাথাব্যথা হতে পারে।
মাথাব্যথা সহ্য করতে না পেরে অনেকেই ঘন ঘন ওষুধ খান যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। এই ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়ার অন্যতম নিরাপদ ও কার্যকর উপায় হল মাথা ব্যথা উপশমকারী খাবার খাওয়া। এমন কিছু খাবার আছে যে গুলো মাথাব্যথা কমাতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে।
যেমন-
কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবারঃ কম কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার গ্রহণের কারণে অনেক সময় শরীরে গ্লাইকোজেন হ্রাস পেতে থাকে, যা মস্তিষ্কের শক্তির প্রধান উৎস। তখন মাথাব্যথা হতে থাকে। পরিমিত কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার গ্রহণে মাথা ব্যথা কমে। সেই সঙ্গে মুডও ঠিক থাকে।
আদাঃ আদা এমন একটি সুপারফুড যা স্বাস্থ্যের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করে। এটি মাথা ব্যথা এবং মাইগ্রেনের সমস্যা থেকেও মুক্তি দিতে পারে। বমি বমি ভাব এবং ফ্লু দূর করতেও আদা বেশ কার্যকর। এ কারণে মাথাব্যথা থেকে বাঁচতে আদা চা পান বা খাবারে আদা রাখতে পারেন।
তরমুজঃ মাথাব্যথার অন্যতম কারণ হচ্ছে জলশূন্যতা। জল জাতীয় খাবার বা পর্যাপ্ত জল খেলে মাথাব্যথা কমে। তরমুজে ৯২ শতাংশ জল থাকায় এটি শরীরে আর্দ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। এতে থাকা পটাশিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম মাথাব্যথা কমানোর ক্ষেত্রে বেশ কার্যকর।
পালং শাকঃ পালং শাকে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম থাকায় এটি মাথাব্যথা কমাতে পারে। এক কাপ শাকের মধ্যে ২৪ মিলিগ্রাম ম্যাগনেসিয়াম থাকে। এছাড়াও গবেষণা অনুযায়ী, নিয়মিত ম্যাগনেসিয়াম খেলে মাইগ্রেন হওয়ার আশঙ্কা শতকরা ৪১ ভাগ কমে যায়।
দইঃ ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করলেও তীব্র মাথাব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। ক্যালসিয়ামের অভাব হলে মস্তিষ্ক সঠিকভাবে কাজ করে না। তখন মাথাব্যথা হয়। দইয়ে প্রচুর পরিমাণে রাইবোফ্লাভিন থাকে যা ভিটামিন বি কমপ্লেক্সের একটি অংশ। এটি মাথাব্যথা কমানোর ক্ষেত্রে কার্যকর। পাশাপাশি এটি অন্ত্রের স্বাস্থ্যের জন্যও ভালো।
Post a Comment
Thank You for your important feedback