কঙ্গনা রানাওয়াত মুম্বই আসার উড়ানে নির্ধারিত বিধি লঙ্ঘিত হয়েছিল। তারপরই কড়া ব্যবস্থা নিল ডিজিসিএ (ডিরেক্টর জেনারেল অব সিভিল অ্যাভিয়েশন)। শনিবার বিমান নিয়ন্ত্রক সংস্থার তরফে জানানো হল, বিনা অনুমতিতে ছবি তোলা-সহ কোনও উড়ান বিধি লঙ্ঘিত হলে সংশ্লিষ্ট রুটে সেই যাত্রীবাহী উড়ান সংস্থার পরিষেবা দু’সপ্তাহ বন্ধ রাখা হবে। গত বুধবার ইন্ডিগোর ৬ই২৬৪ উড়ানে চণ্ডীগড় থেকে মুম্বইয়ে যাচ্ছিলেন কঙ্গনা। পরে সেই উড়ানের কয়েকটি ভিডিও ভাইরাল হয়ে যায়। তাতে দেখা যায়, সামাজিক দূরত্বের বিধি শিকেয় তুলে ঘেঁষাঘেঁষি করে দাঁড়িয়ে আছেন অনেকে।
এক ডিজিসিএ আধিকারিক বলেছিলেন, ‘আমরা কয়েকটি ভিডিও দেখেছি, তাতে বুধবার ৬ই২৬৪ উড়ানে সংবাদমাধ্যমের কর্মীরা একে অপরের খুব কাছে দাঁড়িয়েছিলেন। তা দেখে মনে হচ্ছে যে উড়ান-সুরক্ষা এবং সামাজিক দূরত্বের প্রোটোকল লঙ্ঘন করা হয়েছে।’ তারপর ইন্ডিগোর থেকে রিপোর্ট তলব করা হয়। উড়ান সংস্থাকে ‘উপযুক্ত ব্যবস্থা’ নেওয়ারও নির্দেশ দেয় বিমান নিয়ন্ত্রক সংস্থা। তারপর শনিবার দুপুরে ডিজিসিএ-এর তরফে একটি বিবৃতি জারি করে জানানো হয়, ১৯৩৭ সালের উড়ান বিধির ১৩ নম্বর ধারা ভঙ্গ করলে এবার থেকে সংশ্লিষ্ট রুটে সেই উড়ান সংস্থার পরিষেবা দু’সপ্তাহ বন্ধ রাখা হবে। যেদিন সেই ঘটনা ঘটেছে, তার পরদিন থেকে সেই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে। একইসঙ্গে নিয়ম লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার পরই উড়ান সংস্থা সেই রুটে আবারও পরিষেবা চালু করতে পারবে। ৯ সেপ্টেম্বর ইন্ডিগো ফ্লাইট, 6E 264 চেপেই চণ্ডীগড় থেকে মুম্বই ফেরেন কঙ্গনা। অভিনেত্রী বিমান সফরে কোনও সংবাদকর্মীর সঙ্গে কোনওরকম কথাবার্তা বলেননি। করোনা আবহে বিমান চলাচলের ক্ষেত্রেও বেশ কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে সংস্থাগুলির উপর। উড়ানের সময় সেই নিয়ম মেনে চলা আবশ্যক।
অথচ যে বিমানে কঙ্গনা চণ্ডীগড় থেকে মুম্বই ফিরেছেন সেই বিমানে এই নিয়ম মানা হয়নি। সম্প্রতি এক মিডিয়া রিপোর্টে এমনই দাবি করা। এবং সেই নিয়ম লঙ্ঘন করেছেন খোদ সংবাদকর্মীরা। মহারাষ্ট্র সরকারের সঙ্গে বাকযুদ্ধে জড়ানো কঙ্গনা রানাওয়াত এই বিমানেই মুম্বই আসেন। যার কিছু সময় আগেই বৃহন্মুম্বই পুরসভার তরফে অবৈধ কাঠামো তৈরি করা হয়েছে এই অভিযোগ এনে চব্বিশ ঘন্টার নোটিশে ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় কঙ্গনার অফিস।
Post a Comment
Thank You for your important feedback