হাতিয়ার সোশাল মিডিয়া, পর্যটনের হাল ফেরাতে উদ্যোগী হল রাজ্য

করোনা ভীতি কাটিয়ে কি আদৌ পর্যটনের জোয়ার আসবে? আসন্ন দুর্গাপুজো ও শীতের ভরা মরশুমের আগে এটাই এখন মূল চিন্তা বাংলার পর্যটন ব্যবসায়ীদের। আক্টোবর থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত মূলত পর্যটনের মরশুম থাকে সারা দেশেই। বিশেষ করে পাহাড়ে ভিড় হয় বেশি। তবে সমুদ্র সৈকত সহ জঙ্গল সাফারিগুলিতেও পর্যটকদের আনাগোনা লেগে থাকে। পর্যটন মানচিত্রে এই বাংলাও ধীরে ধীরে উঠে আসছিল। দার্জিলিং-কার্শিয়ং থেকে শুরু করে ডুয়ার্সের জঙ্গল হোক বা জঙ্গলমহলের শান্ত-নির্জন পরিবেশ। আবার দিঘা-মন্দারমনির সমুদ্রের হাতছানি হোক বা সুন্দরবনের রয়াল বেঙ্গলের টান।

বিগত কয়েক বছরে বাংলার ভ্রমণ চিত্র বেশ আশাপ্রদ ছিল। কিন্তু চলতি বছরে করোনার ধাক্কা একেবারে তলানিতে ঠেলে দিয়েছে পর্যটন ব্যবসাকে। আর সেই কথা মাথায় রেখেই ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া রাজ্যের পর্যটন দফতর। আর তার জন্য তাঁরা হাতিয়ার করতে চাইছে সোশাল মিডিয়াকে। সূত্রের খবর, বাংলার বিভিন্ন চেনা-অচেনা ট্যুরিস্ট স্পটগুলি নিয়ে টিজার তৈরি করছে পর্যটন দফতর। সেগুলি ফেসবুক, টুইটার, ইউটিউবের মতো জনপ্রিয় সোশাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে প্রচার করা হবে। পাশাপাশি বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ নিয়েছে রাজ্যের পর্যটন দফতর। করোনা মোকাবিলা করে সুরক্ষাবিধি মেনেই কয়েকটি ব্যবস্থা নিয়েছে রাজ্য সরকার।


সুরক্ষাবিধি গুলি হল-

রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের টুরিস্ট লজগুলি সংস্কার করা হচ্ছে পুরোদমে
প্রত্যেক টুরিস্ট লজে কোভিড সুরক্ষাবিধি চালু করা হয়েছে
সব টুরিস্ট লজেই পাঠানো হচ্ছে নতুন কিট
বেডরোল পরিবর্তন করা হচ্ছে
হোম-স্টে ও হোম ট্যুরিজমের ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে
কোভিড বিধি নিয়ে হোটেল, হোম-স্টে গুলির মালিক ও কর্মীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করছে পর্যটন দফতর
প্রত্যেক পর্যটন কেন্দ্র নিয়ে আলাদা আলাদা টিজার তৈরি করা হচ্ছে

কথায় আছে, বাঙালির পায়ের তলায় সর্ষে। কিন্তু এই করোনা কালে বন্ধ সব। ট্রেন পরিষেবাও প্রায় বন্ধ। কয়েকটি মাত্র ট্রেন যাও বা চলছে সেখানেও জায়গা অমিল। ফলে ইচ্ছা থাকলেও অনেকে ঘুরতে যাওয়ার প্ল্যান করতে পারছেন না। আবার অনেকেই ভয় পাচ্ছেন এই করোনা পরিস্থিতিতে কোথাও বেড়াতে যেতে। তাঁদের কথা চিন্তা করেই পর্যটন দফতর টুরিস্ট লজগুলির সুরক্ষা ও স্বাস্থ্যবিধি ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনা নিয়েছে। আর সোশাল মিডিয়ার মাধ্যমে প্রতিটি ভ্রমণ পিপাসু মানুষের কাছে পৌঁছে যেতে চাইছেন পর্যটন কর্তারা। কারণ বাইরের রাজ্যে যেতে না পারলেও এই বাংলার মাটিতেই যাতে ঘরের কাছেই কোথাও ঘুরে আসা যায়।

Post a Comment

Thank You for your important feedback

Previous Post Next Post