ক্যাপসিকাম বেশ কয়েকটি রঙের হয়। আমাদের এখানে লাল ও সবুজ ক্যাপসিকামই বেশি দেখা যায়। ক্যাপসিকাম বা বেল পেপারের প্রচুর পুষ্টিগুণ রয়েছে। এতে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে। ক্যাপসিকামে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকায় এটি শরীরের জন্য খুবই উপকারী। এতে ভিটামিন ই, এ-ও পাওয়া যায়। এ কারণে এটি চোখের স্বাস্থ্যও ভালো রাখতে সহায়তা করে। এটি চুল ও ত্বকের জন্যও খুব ভালো। ক্যাপসিকাম হাড় ও হৃৎপিণ্ড দুই-ই ভালো রাখে।
লাল ক্যাপসিকামঃ
লাল ও সবুজ ক্যাপসিকামের মধ্যে লালটি বেশি পুষ্টিগুণসম্পন্ন। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে। এতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের পরিমাণও বেশি থাকে। লাল ক্যাপসিকাম খেলে ত্বকের স্বাভাবিকতা বজায় থাকে। এটি চুলের সৌন্দর্য বাড়ায়, চোখের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। এতে কোলেস্টেরল কম থাকায় এটি মোটা হওয়ার প্রবণতা কমাতে ভূমিকা রাখে। ত্বক পরিষ্কার রাখতে ক্যাপসিকাম বেশ উপকারী। লাল ক্যাপসিকাম শরীরের যেকোন ধরনের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। ক্যাপসিকাম খেলে মাথার তালুর রক্ত চলাচল বজায় রাখতে সাহায্য করে।
সবুজ ক্যাপসিকামঃ
সবুজ ক্যাপসিকামও বিভিন্ন পুষ্টি উপকরণে ভরপুর। এই ক্যাপসিকামটি একটু অল্প বয়সীদের জন্য উপকারী। এতে ক্যাপসাইসিনস নামক এক ধরনের উপাদান থাকে যা ডিএনএর সঙ্গে যুক্ত হয়ে ক্যানসার সৃষ্টিকারী উপাদানের সংযুক্ত হওয়াতে বাধা দেয়। এটি ক্যানসার প্রতিরোধে কাজ করে। এছাড়া এই ক্যাপসিকাম মাইগ্রেন, সাইনাস, সংক্রমণ, দাঁতে ব্যথা, অস্টিওআর্থ্রাইটিস ইত্যাদি ব্যথা দূর করতে কাজ করে। সবুজ ক্যাপসিকাম শরীরের বাড়তি ক্যালরি পূরণে সাহায্য করে। ফলে চর্বি জমে না, একই সঙ্গে ওজনও বৃদ্ধি পায় না।
Post a Comment
Thank You for your important feedback