শুক্রবার সকালে অন্যান্যদিনের মতোই বাড়ির পুকুরে স্নান করতে নেমেছিলেন গৃহবধু। কিন্তু পুকুরে নেমেই চক্ষু চড়কগাছ। ভয়ে আতঙ্কে প্রায় জ্ঞান হারানোর অবস্থা হল তাঁর। ওই গৃহবধূর চিৎকারেই ছুটে আসেন পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা। তাঁরাই দেখেন এক বিশালকায় কুমির ভেসে বেড়াচ্ছে ওই পুকুরে। এরপর দীর্ঘ চেষ্টায় বন দফতরের কর্মীরা কুমিরটিকে বন্দি করেন। ঘটনাটি দক্ষিণ ২৪ পরগণার পাথরপ্রতিমার গোবর্ধনপুর কোস্টাল থানার শ্রীধরনগর গ্রামে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে ওই গ্রামের বাসিন্দা অভিমন্যু দাসের বাড়ির পুকুরেই কোনওভাবে চলে আসে কুমিরটি। ওই পরিবারের বধূ পুকুরে স্নান করতে নামেন এদিন সকালে। তিনি দেখতে পান একটি হাঁসকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে কুমিরটি। হার হিম করা এই দৃশ্য দেখে তিনি চিৎকার করতে করতে কোনওরকমে ডাঙায় উঠে আসেন। পরিবার ও প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন পুকুরপারে। শ্রীধরনগর পঞ্চায়েত প্রধান প্রদ্যুৎ দেব বর্মন খবর পেয়ে ছুটে আসেন। তিনিই খবর দেন বন দফতরে। পুকুরের পারে ততক্ষণে হাজির বিশাল জনতা। কেউ কেউ আবার মোবাইলে কুমিরটিকে ক্যামেরাবন্দি করতে চেষ্টা করছেন।
কোলাহল শুনে বিশালকায় কুমিরটি ততক্ষণে সেঁধিয়েছে জলের গভীরে। ছুটে আসেন বনকর্মীরা। প্রথমে তাঁরা জাল ফেলে কুমিরটিকে বন্দি করতে চেষ্টা করেন। কিন্তু প্রায় পাঁচ ফুটের ওই বিশাল কুমিরটিকে ধরা সম্ভব হয়নি। এরপর পাম্প চালিয়ে পুকুরের জল কমিয়ে ফেলা হয়। তারপরই কুমিরটিকে ধরে বেঁধে ফেলা হয়। এরপর সেটিকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ভাগবতপুর কুমির প্রকল্পে। স্থানীয় মানুষদের অনুমান, ওই গ্রামের পাশ দিয়েই বয়ে গিয়েছে জগদ্দল নদী। কুমিরটি ওই নদী থেকেই এই পুকুরে চলে এসেছে।
Post a Comment
Thank You for your important feedback