বুধবার সন্ধ্যায় অনেক আশা নিয়ে টিভির সামনে বসেছিলেন কলকাতা নাইট রাইডার্সের ফ্যানেরা। বিরাট কোহলির রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুকে হারিয়ে প্রথম চারের রাস্তা আরও সুগম করতে এই ম্যাচ ছিল অতি গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু খেলা শুরু হতেই হতাশায় ডুব দিলেন তাঁরা, অনেকেই চ্যানেল ঘুরিয়ে সিনেমা-সিরিয়ালে ফিরে গেলেন। কলকাতার প্রথম ইনিংস শেষ হল মাত্র ৮৪ রানে। অল্পের জন্য সর্বনিম্ন রানের লজ্জা স্পর্ষ করতে হলনা কেকেআর-কে। কিন্তু এটাও কম লজ্জার নয়। এর আগে, ২০০৮ সালে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে ৬৭ রানে অলআউট হয়ে গিয়েছিল কেকেআর। তবে পুরো ২০ ওভার ব্যাট করে অল আউট না হয়েও এই স্কোর সত্যিই বিস্ময়কর। এর আগে ২০০৯ সালে ডারবানে চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে ২০ ওভারে আট উইকেটে ৯২ রান করেছিল কেকেআর। ১৫ তম ওভারে ৫০ রানর গণ্ডি পেরোয় কেকেআর। যা আইপিএলের ইতিহাসে সবথেকে খারাপ পারফরম্যান্স। পাওয়ার প্লে-তে চার উইকেট হারিয়ে কলকাতা তোলে মাত্র ১৭ রান। এটা আইপিএলের ইতিহাসে সর্বনিম্ন। টি-২০ ক্রিকেটের ইতিহাসে এক ম্যাচে এত মেডেন ওভার হয়নি আগে। লজ্জার নজিরে এটাও এক পালক উঠল নাইটদের মাথায়। ২০ ওভারের ক্রিকেটে চারটি মেডেন ওভার হল এই ম্যাচে।
এরমধ্যে মহম্মদ সিরাজ দুটি মেডেন, ক্রিস মরিস এবং ওয়াশিংটন সুন্দর একটি করে মেডেন ওভার করেছেন। মহম্মদ সিরাজ আবার কৃপণতম বোলিংয়ের নজির গড়লেন। তিনি চার ওভার হাত ঘুরিয়ে আট রান দিয়ে তিন উইকেট নিলেন। উল্লেখযোগ্য, প্রথম ১২ বলে তিনি এক রানও খরচ করেননি সিরাজ। শেষ লজ্জা হল ৩৯ বল বাকি থাকতেই জয় ছিনিয়ে নিল বেঙ্গালুরু। জিতল আট উইকেটে। খারাপ পারফর্মেন্সের জন্য দীনেশ কার্তিককে সরিয়ে ইয়ন মর্গ্যানকে অধিনায়কত্ব দিয়েছিল কেকেআর টিম ম্যানেজমেন্ট। কিন্তু পরপর দুই ম্যাচেই শোচনীয় হার তাঁর অধিনায়কত্ব নিয়েও প্রশ্নচিহ্ন তুলে দিল। এদিনের ম্যাচে মাত্র ৮৪ রানের পুঁজি নিয়ে বল করতে নেমে গত ম্যাচের সেরা বোলার ফার্গুসনকে প্রথমে সুযোগ দিলেন না। ম্যাচের সাত নম্বর ওভারে তিনি বল তুলে দিলেন ফার্গুসনের হাতে। এটা নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে ইতিমধ্যেই।
Post a Comment
Thank You for your important feedback