অটল টানেল, এবার নিমেষেই লাদাখে পৌঁছে যাবে সেনার রসদ

মানালি থেকে লে যারা গিয়েছেন, তাঁরা যানেন পথে পড়ে ভয়ঙ্কর রোটাং পাস। এই পাস পেড়িয়ে কিন্নর হয়ে লে পৌঁছাতে লেগে যায় প্রায় বেশ কয়েক ঘন্টা। এবার সেই পথ ৪৬ কিলোমিটার কমে গেল। রোটাং পাসের নীচেই তৈরি হল দীর্ঘ টানেল বা সুরঙ্গ। শনিবার এই টানেল জাতির উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ‘ভরতরত্ন’ অটল বিহারি বাজপেয়ির নামেই এই টানেলের নাম ‘অটল টানেল’ রাখা হয়েছে। এই টানেলের ফলে মানালি থেকে লে যেতে সময় আরও ৪-৫ ঘন্টা কমে যাবে। সমুদ্রতল থেকে প্রায় ১০ হাজার ফুট উঁচুতে ৯.২ কিমি দীর্ঘ এই টানেল আত্মনির্ভর ভারতের অন্যতম নিদর্শন বলেই উল্লেখ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। 
এদিনের অনুষ্ঠানে তিনি ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, হিমাচলের মুখ্যমন্ত্রী জয়রাম ঠাকুর। পাশাপাশি ছিলেন চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল বিপিন রাওয়াত। এই টানেলের জন্য সবচেয়ে বেশি সুবিধা হবে সেনাবাহিনীর। সেনার জন্য অস্ত্রশস্ত্র, রসদ অনায়াসেই পৌঁছে দেওয়া যাবে লাদাখের চিন সীমান্তে। পাশাপাশি হিমাচলের লাহুল, স্ফিতি, কিন্নর এলাকার মানুষজনের সুবিধাও হবে। 
ইঞ্জিনিয়ারিং উৎকর্ষে এই টানেল এক অনন্য দৃষ্টান্ত। ব্যবহার করা হয়েছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি। ৯.২ কিমি দীর্ঘ এই টানেলের ভিতরে অক্সিজেনের মাত্রা নিয়ন্ত্রন করা যাবে। আগুন লাগলেও দ্রুত নিয়ন্ত্রন করার জন্য থাকছে জলের পাইপ। প্রতি ২৫০ মিটার অন্তর লাগানো হয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরা। অশ্বক্ষুরাকৃতি এই টানেলের ভিতরে রয়েছে দুই লেনের রাস্তা। দুই পাশেই রয়েছে ফুটপাত, যাতে দুর্ঘটনা বা আপাৎকালীন সময়ে মানুষদের বের করে আনা যায়। এই টানেলে দৈনিক তিন হাজারের বেশি গাড়ি যাতায়াত করতে পারবে সর্বোচ্চ ৮০ কিমি প্রতি ঘন্টা গতিতে।

Post a Comment

Thank You for your important feedback

Previous Post Next Post