অঞ্জলি-সিঁদুর খেলায় ছাড় নয়, তবে মণ্ডপের বাইরে থাকবে ঢাকি

 

করোনা আবহে দুর্গাপুজো নিয়ে দোলাচলে বাঙালি। এবার বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসবে সরাসরি অংশগ্রহণ করা যাবে না। এমনই রায় দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। সোমবারই কলকাতা হাইকোর্ট রায় দিয়েছিল এবার রাজ্যের সমস্ত পুজো মণ্ডপই হবে কনটেনমেন্ট জোন, সাধারণ দর্শকদের জন্য থাকবে নো-এন্ট্রি। মণ্ডপে প্রবেশ করতে পারবেন শুধুমাত্র কমিটির সদস্য বা উদ্যোক্তারাই। তবে সেক্ষেত্রেও বেঁধে দেওয়া হয়েছিল সংখ্যা। এই রায় পুনর্বিবেচনা করার আর্জি জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টেই ফের রিভিউ পিটিশন দায়ের করে কলকাতার পুজো কমিটিগুলির সংগঠন ‘ফোরাম ফর দুর্গোৎসব’। মঙ্গলবার অর্থাৎ পঞ্চমীর সকালেই ছিল শুনানি। সব পক্ষের বক্তব্য শুনে আগের রায়ের কিছুটা শিথিল করলেও হাইকোর্ট অনড় দর্শনার্থীদের প্রবেশাধিকারে। অপরদিকে অস্টমীর পুষ্পাঞ্জলি দেওয়া, নবমীর সন্ধিপুজো দেখা ও দশমীর সিঁদুর খেলাতেও কোনও ছাড় দিল না কলকাতা হাইকোর্ট। এদিন শুনানি চলাকালীন 'ফোরাম ফর দুর্গোৎসব'-এর পক্ষের আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় আদালতের কাছে অনুরোধ করেন যেন অঞ্জলি দেওয়ার জন্য সপ্তমী, অষ্টমী ও নবমীতে ধাপে ধাপে দর্শনার্থীদের মণ্ডপে ঢুকতে দেওয়া হয়। পাশাপাশি একইভাবে দশমীর সিঁদুর খেলারও অনুমতি চান তিনি। পাশাপাশি আর্জি জানানো হয় সর্বোচ্চ ২৫ জন নয়, আরও বেশি সদস্যদের মণ্ডপে প্রবেশের অনুমতি দিক আদালত। ঢাকিরাও যেন মণ্ডপে প্রবেশ করতে পারে তারও আবেদন জানানো হয় আদালতের কাছে। অন্যপক্ষেরও বক্তব্য শোনেন বিচারপতিরা। এরপরই হাইকোর্ট তার আগের রায়ের কিছুটা পরিবর্তন করে। শুধুমাত্র উদ্যোক্তাদের বাইরে সাধারণ দর্শনার্থীদের জন্য আগের নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখে হাইকোর্ট। অঞ্জলি, সিঁদুর খেলা নিয়ে ফোরামের আর্জি খারিজ করে দেয় আদালত। ফলে নিউ নর্মালের পুজোয় এবার আর মণ্ডপের ভিতর অঞ্জলি দিতে পারবেন না সাধারণ মানুষ। দশমীর ঐতিহ্য সিঁদুর খেলাও এবার কার্যত অসম্ভব। কিন্তু ঢাকিদের জন্য অন্য ব্যবস্থার কথা জানাল হাইকোর্ট। ঢাকিদের মণ্ডপে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও মণ্ডপের বাইরেই নো-এন্ট্রি জোনের ভেতর খোলা জায়গায় ঢাক বাজাতে পারবেন ঢাকিরা। বুধবার শুনানির দুই ক্ষেত্রে সামান্য ছাড় দিয়ে কার্যত আগের রায়ই বহাল রেখেছেন দুই বিচারপতি। সেই সঙ্গে খারিজ করেছে ফোরামের আর্জি।

Post a Comment

Thank You for your important feedback

Previous Post Next Post