করোনার দ্বিতীয় সংক্রমণের ঢেউয়ের আশঙ্কায় গোটা স্পেনে জারি হয়েছে জরুরি অবস্থা। স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো স্যাঞ্চেজ জানিয়েছেন, এই জরুরি অবস্থা আগামী মে মাসের গোড়া পর্যন্ত জারি থাকবে। স্পেনের বিভিন্ন অঞ্চলকে নিজেদের মতো কার্ফু জারিরও ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। রাত ১১ টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত স্পেনে কার্ফু থাকবে। গত বুধবার স্পেনে ১০ লাখেরও বেশি সংক্রমণের রেকর্ড হয়েছে। মারা গিয়েছেন ৩৫ হাজার। গত মার্চ থেকে জুনে স্পেনে জরুরি অবস্থা জারি ছিল। ফ্রান্সে দৈনিক সংক্রমণের রেকর্ড হয়েছে। ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন ৫২,০১০ জন। একদিনে মৃত্যু ১১৬, মোট মৃত ৩৪,৭৬১ জন। ফরাসি সরকারও রাতের কার্ফুর পরিসর বাড়িয়ে দিয়েছে।জার্মানির ফ্রাঙ্কফুর্টে ঐতিহ্যবাহী ক্রিস্টমাস মার্কেট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। জার্মানিতে এই বাজারটিই সবথেকে জনপ্রিয়। সবমিলিয়ে এখানে বাজার করতে আসেন ২০ লাখ মানুষ। একইভাবে বার্লিন, ডুসেলডর্ফ, কোলোনেও কাটছাণট করা হয়েছে ত্রিস্টমাস মার্কেট। নভেম্বরের শেষ থেকেই জার্মানিজুড়ে ক্রিস্টমাস বাজার চালু হয়ে যায়। জার্মানিতে ফের বাড়ছে করোনা। রবিবার ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ১১ হাজার। ইতালিতে ১০০ জন বিজ্ঞানী, গবেষক সরকারের কাছে করোনার দ্বিতীয় প্রবাহ ঠেকাতে অবিলম্বে কড়া নিয়ন্ত্রণের দাবি জানিয়েছেন। ইতালিতে শুধুমাত্র বৃহস্পতিবারেই সংক্রমিত হয়েছেন ১৬ হাজারের বেশি। সুইজারল্যান্ডেও করোনা ফিরে আসায় সেখানে পুরো লকডাউনের ভাবনাচিন্তা চলছে। দ্বিতীয় করোনা সংক্রমণ মোকাবিলায় জেনেভার হাসপাতালগুলি মেডিকেল স্বেচ্ছাসেবকদের ডাক দিয়েছে। তারা স্বাস্থ্যকর্মী এবং অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের করোনা ঠেকাতে এগিয়ে আসতে বলেছে।
Post a Comment
Thank You for your important feedback