গেলেন না স্বরাষ্ট্রসচিব, ডিজি, রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করলেন মুখ্যসচিব

বিজেপি নেতা মণীশ শুক্লার খুনের ঘটনায় রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের সঙ্গে সোমবার দেখা করলেন রাজ্যের নবনিযু্ক্ত মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যপাল নিজেই জানিয়েছেন, নতুন মুখ্যসচিবকে তিনি বর্তমানের ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি নিয়ে তাঁর উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন। রাজ্যে আইনশৃঙ্খলাহীনতা ও গণতান্ত্রিক প্রশাসনের কাজ নিয়ে তাঁর উদ্বেগের কথা নিশ্চয়ই মুখ্যমন্ত্রীকে জানানো হবে। রাজনৈতিক হিংসা ও খুন বন্ধ করতে হবে। বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংয়ের ঘনিষ্ঠ মণীশ শুক্লার খুনের ঘটনায় রবিবার রাতেই রাজ্য পুলিশের ডিজি বীরেন্দ্র এবং স্বরাষ্ট্রসচিব এইচ কে দ্বিবেদীকে তলব করেছিলেন রাজ্যপাল। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ে তাঁরা যাননি।
অন্যদিকে, এই খুনের প্রতিবাদে এলাকায় ১২ ঘণ্টার বনধের ডাক দিয়েছে বিজেপি। সোমবার নিহত মণীশের বাড়িতে যান মুকুল রায়, কৈলাশ বিজয়বর্গীয়, অরবিন্দ মেনন, জগন্নাথ সরকার প্রমুখ। রবিবার সন্ধেয় থানার সামনে কয়েক রাউন্ড গুলি চালিয়ে ঝাঁজরা করে দেওয়া হয় মণীশকে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, টিটাগড় থানার সামনে বাইকে চড়ে হেলমেট পরা দুষ্কৃতীরা দলীয় অফিসে ঢুকে মণীশ শুক্লাকে তাক করে অন্তত ৭ রাউন্ড গুলি চালায়। কলকাতার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই মৃত্যু হয় তাঁর। পুলিশের অনুমান, এই খুনে পেশাদার খুনীদের ব্যবহার করা হয়েছে। এই ঘটনার পরই উত্তপ্ত টিটাগড় থানার সামনে এমন ঘটনায় বিটি রোড অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি কর্মীরা। মনীশ খুনের সিবিআই তদন্তের দাবি করেচেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়। সোমবার সকাল থেকেই ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চল থমথমে। দোকানপাট বন্ধ, যান চলাচল খুবই কম। টিটাগড় এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে ব়্যাফ, কমব্যাট ফোর্স। বারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং বলেছেন, মনীশ ছিলেন তাঁর ছোট ভাইয়ের মতো। পরিকল্পনা করেই ওকে খুন করা হয়েছে। তৃণমূল, পুলিশের যোগসাজসে এই খুন বলে তাঁর অভিযোগ। মণীশ তৃণমূল থেকে অর্জুনের সঙ্গেই বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। বিজেপি সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছে।

Post a Comment

Thank You for your important feedback

Previous Post Next Post