করোনা পরিস্থিতির জেরে দীর্ঘ সাতমাস কর্মহীন হয়ে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন বছর পঁয়ত্রিশের যুবক চিরঞ্জিৎ তাঁতি। সেই অবসাদেই দাঁড়িয়ে থাকা ট্রেনের কামরায় গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হলেন এই যুবক। শুক্রবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুরে। শুক্রবার গভীর রাতে বারুইপুর স্টেশানে ট্রেনের কামরা থেকে উদ্ধার হয়েছে ওই যুবকের ঝুলন্ত দেহ। রেলপুলিশ ও বারুইপুর থানার পুলিশ ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত দেহ উদ্ধার করে বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। বারুইপুর এলাকায় ভাড়াবাড়িতে স্ত্রী ও দুই সন্তানকে বাস করতেন এই যুবক। তাঁর মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বারুইপুর রেল স্টেশান চত্বরে। পরিবার সূত্রের খবর, পেশায় হোটেলের রাঁধুনি ছিলেন চিরঞ্জিৎ। কিন্তু লকডাউনের শুরু থেকেই কর্মহীন হয়ে পড়েছিলেন তিনি। স্ত্রী ও দুই সন্তানকে নিয়ে দারুণ আর্থিক সঙ্কটে পড়েছিলেন। বাজারে ও বেশ কয়েক লক্ষ টাকার দেনা হয়ে গিয়েছিলেন। পাওনাদারাও চাপ দিচ্ছিল। শুক্রবার দাদার কাছে ৫০ টাকা চেয়েছিলেন, সেই টাকা দেননি দাদা। এতে আরও মানসিক অবসাদে ভেঙে পড়েন তিনি। অবশেষে রাতে ঘুম থেকে উঠে বারুইপুর প্লাটফর্মে গিয়ে ট্রেনের কামরায় গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন চিরঞ্জিৎ। পুলিশ দেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠিয়েছে।
Post a Comment
Thank You for your important feedback